নৃত্যশিল্পীর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর ১০০ গোলাপ
ভারতের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্করের শতবর্ষে পা দেওয়া উপলক্ষে ১০০ গোলাপ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার পক্ষে এই ১০০ÿগোলাপ তাঁর কাছে পৌঁছে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই নৃত্যশিল্পীকে গোলাপ ফুল ছাড়াও শাড়ি আর মিষ্টি পাঠানো হয়।
গতকাল বুধবার ছিল শিল্পী অমলা শঙ্করের জন্মদিন। জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার শিল্পী আর বিশিষ্টজনেরা হাজির হয়েছিলেন তাঁর বাসভবনে। এখানেই সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় অমলা শঙ্করের শতবর্ষের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় ভক্ত ও ছাত্রছাত্রীরা এই বাসভবনে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রথিতযশা এই শিল্পীকে। তাঁর গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। হাতে তুলে দেন ফুল। এ সময় অমলা শঙ্করের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তনুশ্রী শঙ্কর, মেয়ে মমতা শঙ্কর, জামাতা চন্দ্রোদয় ঘোষ প্রমুখ।
অমলা শঙ্করের জন্মদিনের আয়োজনকে আরও রাঙাতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মেয়ে মমতা শঙ্করের নৃত্যশিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র ও আঁকা ছবির প্রদর্শনীর। এখানে থাকছে অমলা শঙ্করের আঁকা ৩০টি ছবি। আলোকচিত্রের মধ্য থাকছে প্রয়াত স্বামী উদয় শঙ্করের সঙ্গে তাঁর নানা ছবি। অমলা শঙ্কর আঙুল ও নখ দিয়ে ছবি আঁকতেন। ব্যবহার করতেন কাঠি। কখনো ব্যবহার করেননি তুলি। অমলা শঙ্করের সেসব ছবির মধ্য থেকে ৩০টি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এই প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
আলোকচিত্র ও আঁকা ছবির প্রদর্শনীর পাশাপাশি এখানে দেখানো হচ্ছে অমলা শঙ্কর ও উদয় শঙ্কর অভিনীত ছবি ‘কল্পনা’। ১৯৪৮ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন উদয় শঙ্কর নিজেই। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেন লক্ষ্মীকান্ত, উষা কিরণ, পদ্মিনী প্রমুখ।
১৯৪২ সালে উদয় শঙ্করকে বিয়ে করেন অমলা শঙ্কর। ১৯৭৭ সালে মারা যান তিনি। উদয় শঙ্করের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের নড়াইলে। তাঁর বাবা শ্যাম শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত ব্যারিস্টার। পেশাগত কাজে তিনি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরে থাকতেন। সেখানেই ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন উদয় শঙ্কর। আর এই উদয় শঙ্করের ছোট ভাই হলেন ভারতের প্রখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর।