টিভি সিরিয়াল বন্ধ হচ্ছে না

ভারতের বাংলা টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালে কাজের ফাঁকে শিল্পীরা
ভারতের বাংলা টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালে কাজের ফাঁকে শিল্পীরা

ভারতের বাংলা টিভি চ্যানেলের দর্শকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কারণ, গত রোববার থেকে কোনো টিভি সিরিয়ালের শুটিং হয়নি। আবার কবে থেকে শুটিং শুরু হবে, সে ব্যাপারেও কেউ কিছু বলতে পারছিল না। কারণ, বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য টিভি সিরিয়ালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানদের সংগঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে একাধিক মেগা সিরিয়ালের ভবিষ্যৎ। এরপর টেকনিশিয়ানদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন অভিনয়শিল্পীরা। তবে ভারতের বাংলা টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালের দর্শকদের জন্য আশার খবর হলো, আপাতত বড় কোনো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। আর কোনো টিভি সিরিয়ালও বন্ধ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার থেকে সব স্টুডিওতে পুরোদমে শুটিং শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে প্রযোজকদের সংগঠন প্রোডিউসার গিল্ডের সঙ্গে টেকনিশিয়ানদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক শেষে টেকনিশিয়ানদের ওভারটাইমসহ দিনে সর্বাধিক ১৪ ঘণ্টা কাজ, বেতন বাড়ানো এবং অন্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রযোজকদের সংগঠনের আশ্বাসের পর টেকনিশিয়ানরা আবার শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। গত বুধবার শুটিং শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও কোনো স্টুডিওতেই কাজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার সব কটি স্টুডিওতে সকাল থেকেই ছিল ব্যস্ততা।

এদিকে টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছেন, দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শুটিং বন্ধ করে তাঁরা রাস্তায় নামবেন।

প্রযোজকদের সঙ্গে টেকনিশিয়ানদের দ্বন্দ্বের কারণে গত রোববার কলকাতায় সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ করে দেন টেকনিশিয়ানরা। শুটিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট সময় না থাকা, মাঝরাত পর্যন্ত শুটিং করা, পরদিন ভোরে আবার শুটিংয়ে ফেরা, কাজ শেষে টেকনিশিয়ানদের যাতায়াতের জন্য গাড়ি না দেওয়া, সঠিক সময়ে পারিশ্রমিক না দেওয়াসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে শুটিং বন্ধ করে দেন টেকনিশিয়ানরা।

টেকনিশিয়ানদের ধর্মঘটের ফলে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় ইন্দ্রপুরী, নারায়ণী, টেকনিশিয়ান, দিশানি ১ ও ২, পার্কপ্লান, ভিলায়েন্স স্টুডিওর সব মেগা সিরিয়ালের শুটিং। ক্ষতির মুখে পড়ে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস, টেন্ট সিনেমা, বন্দনা ফিল্মস, সুরিন্দর ফিল্মস, অ্যাক্রোপলিশ ফিল্মস, ব্লুজ, নাজিম মোমেনসহ অন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো।