ঘরের বাইরে এগ টেম্পারার দুর্লভ ছবি
যিশুখ্রিষ্ট ও ফকির লালনকে এক ফ্রেমে বেঁধেছিলেন চিত্রকর। বহুকালের পুরোনো ছবি আঁকার উপকরণ ‘এগ টেম্পারা’ দিয়ে আশির দশকে ছবিটি আঁকা। এখনো চকচক করছে। হাজার বছরেও এ ছবির উজ্জ্বলতা কমবে না। বরং দিন গেলে আরও উজ্জ্বল দেখাবে। চিত্রকর শহীদ কবীরের আঁকা এ রকম দুর্লভ পাঁচটি ছবি বের করা হয়েছে ঘরের বাইরে। করা হয়েছে প্রদর্শনের আয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারিধারায় নিজের বাড়িতে দুর্লভ এ ছবিগুলো প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন সংগ্রাহক রেজওয়ান রহমান। তাঁর বাড়ি ভর্তি অনেক শিল্পীর চিত্রকর্মে। কিন্তু শহীদ কবীরের এ কাজগুলো নিজের বন্ধুদের সঙ্গে উপভোগ করার জন্য এনেছেন অল্প কয়েক দিনের জন্য। ডিমের আঠা ব্যবহার করে আশির দশকে বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন শিল্পী। সেগুলোর প্রায় সবই বিক্রি হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকে এ পাঁচটি ছবি। এগুলো নিজের সংগ্রহে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। কখনোই বিক্রি করা হবে না, দেওয়া হবে না বিদেশের কোনো জাদুঘরে। দেশের জাদুঘর শিল্পীর কাছে চাইলেই কেবল সংগ্রহে রাখতে পারবে।
টেম্পারায় আঁকা এ ছবিগুলোর দুটি নিজের পোর্ট্রেট, একটি আঁকা হয়েছে জাতীয় জাদুঘরের একটি পাথরের দম্পতির ভাস্কর্য থেকে এবং বাকি দুটি লালন দর্শনের ওপরে ভিত্তি করে আঁকা। বলে নেওয়া দরকার, শহীদ কবীর লালন দর্শনের অনুরাগী। প্রায় সব ছবিতেই তার ছোঁয়া লক্ষণীয়।
প্রদর্শনীর আয়োজক চিত্রকর্ম সংগ্রাহক রেজওয়ান রহমান বলেন, ‘শহীদ কবীরকে চিনতে হলে এ ছবিগুলোর সঙ্গে পরিচয় থাকতেই হবে। প্রদর্শনের জন্য শিল্পী আমাকে ধার দিয়েছেন ছবিগুলো। এগুলো সংগ্রহ করা না হোক, কিছুদিনের জন্য আমার দেয়ালে শোভা পাচ্ছে, এটাই আমার জন্য পরম আনন্দের।’
ছবি দেখতে এসেছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, নিসার হোসেন, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।