শিল্পকলায় পেশাদার শিল্পীদের অনুষ্ঠান

‘সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান’ অনুষ্ঠানে একটি সমবেত পরিবেশনা। ছবি: প্রথম আলো
‘সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান’ অনুষ্ঠানে একটি সমবেত পরিবেশনা। ছবি: প্রথম আলো

‘শিল্পী’ হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন শিল্পী আছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। অফিসে নিয়মিত আসা-যাওয়া এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেওয়া ছাড়া তেমন কাজ নেই এই শিল্পীদের। গতকাল সোমবার শুধু এই শিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান’। উদ্দেশ্য শিল্পীদের পেশাগত উৎকর্ষসাধন। আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগ।

সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী আর প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক কাজী আসাদুজ্জামান।

রবীন্দ্রসংগীত ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’র সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এরপর ছিল দ্বৈত সংগীতের পরিবেশনা। নজরুলসংগীত ‘মোর ঘুমঘোরে এল মনোহর’ যুগল কণ্ঠে গেয়ে শোনান আবিদা রহমান ও হিমাদ্রি রায়। এরপর ‘সোনার বান্ধাইলা নাও’ গানের সঙ্গে ছিল সমবেত নৃত্য। ‘আমার মতো এত সুখী নয়তো কারও জীবন’ গেয়ে শোনান সোহানুর রহমান। ‘হলুদিয়া পাখি সোনার বরণ’ গানটি পরিবেশিত হয় সমবেত কণ্ঠে। এরপর আবার নৃত্য। নজরুলসংগীত ‘কারার ওই লোহ কপাট’ ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতার অবলম্বনে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য।

কখনো একক, কখনো দ্বৈত বা দলীয় নানা আঙ্গিকের নাচ আর গানে এগিয়ে যায় আয়োজনটি। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উকিল মুনশির ‘আষাঢ় মাইসা ভাসা পানিরে’ গানটি গেয়ে শোনান রোকসানা আক্তার। লালনগীতি ‘তিন পাগলের হলো মেলা’ শোনান হীরক সরদার। রাণী সূত্রধর ও রাফি তালুকদার দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘খা খা খা বকখিলারে খা’। এরপর ছিল কয়েকটি সমবেত নৃত্যের পরিবেশনা। ‘নাও ছাড়িয়া দে’, ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ ও ‘সে দিন আর কত দূরে’ গানের সঙ্গে তিনটি নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। ‘বুকের ভিতর স্বপ্ন নিয়ে একটাই আছে দেশ’ গানে সমবেত নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান। আয়োজনটি পরিচালনা করেন মোনালিন আজাদ। উপস্থাপনা করেন তামান্না তিথি।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শক উপস্থিতি ছিলেন এ অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, এখন থেকে নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন করা হবে।