সভাপতি তপন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়

তপন মাহমুদকে সভাপতি ও বিশ্বজিৎ রায় সাধারণ সম্পাদক
তপন মাহমুদকে সভাপতি ও বিশ্বজিৎ রায় সাধারণ সম্পাদক

সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস যেমন সমাজ থেকে দূর হয়নি, তেমনি দুর্নীতিমুক্ত সমাজও এখন পর্যন্ত গঠন করা যায়নি। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে সংগীতের সুর ও বাণী দিয়ে মানুষকে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে পরিষদের তৃতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এবার সম্মেলনে পরিষদের ১০টি সাংগঠনিক জেলার নয়টি জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এগুলো হলো রংপুর রাজশাহী, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা। সম্মেলন শেষে গতকাল সন্ধ্যায় তপন মাহমুদকে সভাপতি ও বিশ্বজিৎ রায়কে সাধারণ সম্পাদকসহ ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

শনিবার সকালে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, সাবেক গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি তপন মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। পরে তিনি সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন।

শনিবার সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনীতে সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা
শনিবার সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনীতে সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘দেশ বৈষয়িক দিক দিয়ে উন্নতি করেছে। কিন্তু নৈতিক দিক দিয়ে মানুষের অবক্ষয় অনেক ক্ষেত্রে রয়েছে। সংস্কৃতিই একটি দেশের চালিকাশক্তি হওয়া উচিত। মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোধ না থাকলে শুধু উন্নয়ন দিয়ে দেশের ভালো হয় না।’

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘সংস্কৃতির মাধ্যমে অপশক্তি রুখে দেওয়ার কথা বলে সরকার। সেটা করতে হলে প্রান্তিক পর্যায় থেকেই জাগরণটা শুরু করতে হবে। কিন্তু সরকার সংস্কৃতি খাতে যে স্বল্প বরাদ্দ দেয়, তা দিয়ে এ কাজ সম্ভব নয়।’ মূল বাজেটের ১ শতাংশ এ খাতে বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।

বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের হাজার বছরের যে ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ব করি, তার সিংহভাগই সংগীত। মানবিক অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা গড়ে তুলেছে যে দর্শন, তার বাহন এ সংগীত। বাংলাদেশের সংকটে সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে সংগীত আমাদের প্রেরণা দিয়েছে। সেই সংগীতকে অবলম্বন করে আমরা সামনের পথ চলতে চাই।’

নতুন কমিটিতে আছেন সহসভাপতি আমিনা আহমেদ ও মাহমুদ সেলিম, কোষাধ্যক্ষ মো. তমিজ উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনায় তাসলিমা বেগম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসী কাকলী, অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন সরদার।