যেখানে আছে সালমানের স্মৃতি

সালমান শাহ
সালমান শাহ
গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহর জন্মদিন। অল্প সময়ে সবার মনে স্থান করে নেওয়া এই তারকা উপহার দিয়েছিলেন বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি। সেই ছবিরগুলোর শুটিং হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রের কলাকুশলীদের সঙ্গে কথা বলে সালমানের সালমানের স্মৃতি লেগে থাকা জায়গাগুলো নিয়ে এই প্রতিবেদন।

মধুপুরের রাবার বাগান
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় শিবলী সাদিক পরিচালিত সিনেমা আনন্দ অশ্রু। এই সিনেমাতে সালমান শাহর বিপরীতে শাবনূর অভিনয় করেন এবং আরও একটি চরিত্রে একসময় আর্বিভাব ঘটে অভিনেত্রী কাঞ্চির। সালমান শাহর সঙ্গে কাঞ্চি অংশ নেন সেই বিখ্যাত গান ‘তুমি আমার এমনই একজন’–এ। এই গানের পুরোটা জুড়ে গাছপালায় ঘেরা যে বন দেখানো হয়েছিল, সেটি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর সদরের রাবার বাগান। সেখানেই শুটিং করা হয়েছিল এই গানের। স্থানীয় লোকজন ও সালমান শাহ ভক্তরা আজও সেখানে ছুটে যান সালমান শাহর স্মৃতির টানে।

গাজীপুরের ভাওয়াল উদ্যান
১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্র তুমি আমার। জহিরুল হক পরিচালিত এই সিনেমার অর্ধেক কাজ হওয়ার পর মারা যান পরিচালক। তারপর বাকি কাজ শেষ করেন পরিচালক তমিজ উদ্দিন। এই সিনেমার আউটডোর শুটিংগুলো করা হয়েছিল গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে। ‘দেখা না হলে একদিন’, ‘আমার জন্ম তোমার জন্য’—এসব গানের শুটিং করা হয় ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের লেকের পাশে। সেখানকার রাস্তার আশপাশেও কিছু ছোট ছোট শট নেওয়া হয়। শুধু এই ছবিই নয়, সালমান শাহর আরও বেশ কিছু সিনেমার স্মৃতির সাক্ষী হয়ে আছে এই ভাওয়াল বন। কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির ‘এখন তো সময় ভালোবাসার’ গানের শুটিং হয় এখানে।

হিমছড়ি
|কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিটি ছিল সালমান শাহর প্রথম সিনেমা। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এই সিনেমার মাধ্যমে চিত্রনায়িকা মৌসুমীরও অভিষেক হয়েছিল। এই সিনেমার আউটডোর শুটিং হয়েছিল টেকনাফ ও কক্সবাজারে। ইনডোর শুটিং হয়েছিল শ্যামলী ও গুলশানের কিছু বাড়িতে। সিনেমাটির ‘একা আছি’ গানটির পুরো শুটিং করা হয়েছিল হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে। হিমছড়ির মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতেও কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়। এই সিনেমার জনপ্রিয় ‘ও আমার বন্ধু গো’ গানের শুটিং করা হয়েছিল এফডিসিতে।

সুতিয়া নদী
১৯৯৪ সালে শাহ আলম কিরণ পরিচালিত সুজন সখি ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেন সালমান শাহ ও শাবনূর। সিনেমার সব কটি গানই সে সময় তুমুল জনপ্রিয় হলেও ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ গানটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। সে সময়ের সিনেমাগুলো থেকে একটু আলাদাভাবে তৈরি হয় সিনেমাটি। ইনডোর শুটিংয়ের চেয়ে আউটডোরে বেশি শুটিং করা হয়। যার অধিকাংশই হয়েছিল ময়মনসিংহ জেলাতে। ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ গানটির শুটিং হয়েছিল সুতিয়া নদীতে।