এখনো রাস্তায় কেনাকাটা করি

প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার
প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার

মাত্র এক ঝলকের ছোট্ট দুটি দৃশ্য। একটিতে ভ্রুর ইশারা, অন্যটিতে চোখের। সঙ্গে একটু হাসি। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই দৃশ্য। মুহূর্তেই প্রিয়া হয়ে উঠেছিলেন বহু তরুণের প্রিয়। মালায়ালাম ছবি ‘উরু আডার লাভ’ দিয়ে শুরু হচ্ছে যার চলচ্চিত্র যাত্রা, শুরুর আগেই তিনি হয়ে উঠেছেন আলোচনার উপাদান। ছবিটির ‘মানিকিয়া মালারায়া পুভি’ গানটিতে ঠিক অতটুকু জায়গাতেই আছেন প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার। ছবিটি মুক্তি পাবে ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ। কিন্তু তার থেকেও বড় খবর বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে প্রিয়ার। ‘শ্রীদেবী বাংলো’ নামে সেই বলিউড ছবিটির টিজার প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি। ছবির প্রযোজকসহ পুরো কর্মীবাহিনীর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রয়াত তারকা শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। মুম্বাইতে ওই ছবির মহরতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার।

বলিউডে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন, কেমন লাগছে?
প্রথম ছবি নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ভয় হচ্ছে তা নয়। তবে আমি নিশ্চিত, আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে যেত।

প্রথম কাজটা প্রশান্ত মাম্বুলির সঙ্গেই কেন?
ছবি করার প্রস্তাব আমাকে অনেকেই দিয়েছিলেন। প্রশান্ত স্যার যখন এলেন আর একবাক্যে ছবির গল্পটা বললেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই।

প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার
প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার

তো গল্পের কোন জিনিসটা আপনার ভালো লাগল?
গল্পটা একজন নারী সুপারস্টারকে নিয়ে। এই চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পুরো গল্পটিই তাঁকে ঘিরে। এমন সমৃদ্ধ একটা গল্পে ‘না’ বলি কেমন করে?

গল্পটা কি শ্রীদেবীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি?
আমার মনে হয় না এটা কারও জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি। এটা একটা কাল্পনিক কাহিনি। আর এর গল্পটাই আমাকে আকর্ষণ করেছে।

নবাগত নায়িকা হিসেবে একজন মহাতারকার চরিত্রে অভিনয় করছেন, কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
আমরা লন্ডনে চার দিন শুটিং করেছি। এ মাসের শেষে গিয়ে আবার শুটিং শুরু করব। বেশির ভাগ শুটিংই সেখানে করতে হবে। মুম্বাইতে এসেছি টিজার মুক্তির অনুষ্ঠানে। তারকার চরিত্রে কাজ করার জন্য তেমন কোনো প্রস্তুতি নিইনি। ক্যাপ্টেন যেভাবে বলেছেন, আমি সেভাবেই দৃশ্যগুলোর সঙ্গে ছুটেছি।

কখনো ভেবেছিলেন যে অভিনয়শিল্পী হবেন?
ভেবেছি। বলতে পারেন অভিনয়ের ব্যাপারে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম। কপাল ভালো যে বাবা-মা সমর্থন জুগিয়েছিলেন। আমি বাবার খুব আদরের মেয়ে এবং বাবা কিন্তু এই টিজার প্রকাশের অনুষ্ঠানেও আমার সঙ্গে মুম্বাই পর্যন্ত এসেছেন। মাকে বাড়িতে রেখে আসতে হয়েছে। কারণ আমার একটা স্কুল পড়ুয়া ছোট ভাই আছে।

প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার
প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার

আপনার চোখের ইশারা বহু তরুণের মাথা খারাপ করে দিয়েছে...
ওই গানের শুটিংয়ের সময় আমাকে বলা হয়েছিল চোখ টেপো এবং মুচকি হাসো। আমি খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটা করেছি। সবাই যদি এটাকে রোমাঞ্চকর ভেবে বসে, আমি কি করব? আমি তো কেবল আমার কাজটি খুব স্বাভাবিকভাবে করেছি।

অতি উৎসাহিত কোনো ভক্তের সামনে কি কখনো পড়েছেন?
নাহ। আমি কখনই ছেলেদের দ্বারা আক্রান্ত হইনি। আমাকে সবাই সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে নিয়েছে। আর আমি যেটা করেছিলাম, সেটা কেবলই অভিনয়, যা আমাকে করতে বলা হয়েছিল। ক্যামেরার সামনে সত্যিকারের অভিনয় করাটা নিশ্চয়ই দোষের নয়? হাজার হোক আমরা কিন্তু অভিনয়শিল্পী এবং আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই আমরা অভিনয় করি। আমিও আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ভিড়ের ভেতর চলাফেরা করতে তাহলে অসুবিধা হয় না?
একদম না। আমি মুক্তভাবেই চলাফেরা করি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি। আমি এখনো রাস্তায় কেনাকাটা করি এবং রেস্তোরাঁয় খাই।

বলিউড তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে ফেলেছেন?
হ্যাঁ। ‘উরি’ ছবিটা দেখলাম। প্রিয় অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছে যে, তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন এবং বলেছেন, ‘তোমার চোখ টেপা আমার ভালো লেগেছে। শুনে খুবই সম্মানিত বোধ করেছি। এর চেয়ে বেশি আমার আর কী চাওয়ার থাকতে পারে?