সব ঠিকঠাক, তবুও হলো না বিয়ে

তারকারা যা-ই করেন, তা-ই খবর। তাঁরা প্রেম করলে ভালো খবর। বাগদান হলে বড় খবর। আর সেই বাগদান যদি বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর আগেই ভেঙে যায়, তাহলে তা আরও বড় খবর। মিড-ডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে বড় ও ছোট পর্দায় এমন কয়েকটি জুটিকে নিয়ে এই আয়োজন। যাঁরা বাগদান করেছেন, তবে সেই বাগদান আর গড়ায়নি বিয়ে পর্যন্ত।

সহজ ভাষায়, বাগদান হওয়ার অর্থ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা। হিন্দু বিয়ের রীতি অনুসারে বাগদান অনুষ্ঠানে পাটিপত্র করা হয়। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পুরোহিত এই পাটিপত্র লেখেন। পাটিপত্রে বর-কনের স্বাক্ষর থাকে। এরপর নাকি আর কোনো পক্ষের অসম্মতি প্রকাশ করার সুযোগ থাকে না। বরপক্ষ ও কনেপক্ষ বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হলে বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও এ অনুষ্ঠানকে ‘পাকা দেখা’ বলে। ভাওয়ালে এ অনুষ্ঠানকে বলে ‘পানগাছ’।

নানা অঞ্চলে, ভাষায়, ধর্মের, জাতির বাগদান অনুষ্ঠানে ভিন্নতা আছে। কিন্তু বাগদানের একটা সর্বজনীন মানে আছে। সেই অর্থ অনুসারে বাগদান মানে পাত্র ও পাত্রী বিয়ের জন্য প্রস্তুত, অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁরা। কিন্তু বলিউডের দিকে তাকালে দেখা যাবে, অনেক বড় তারকারই বাগদান হয়েছে। তারপর পালিয়েছেন সেই বিয়ে থেকে। অন্য কোথাও গাঁটছড়া বেঁধেছেন বা বিয়েকে বলেছেন বিদায়। জুটি পাকাপাকিভাবে বাঁধার আগেই আলগা হয়েছে বাঁধন। পথ বেঁকে গেছে দুদিকে।

সালমান খান ও সঙ্গীতা বিজলানি
সালমান খান ও সঙ্গীতা বিজলানি

সালমান খান ও সঙ্গীতা বিজলানি
সালমান খানের প্রেমিকাদের তালিকা একাবারে ছোট নয়। সেখানে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ক্যাটরিনা কাইফ, ইউলিয়া ভানতুরসহ আরও অনেকের নাম আছে। কিন্তু সালমান খানের পোর্টফোলিও তালিকা আসলে শুরু হয়েছে সঙ্গীতা বিজলানির নাম দিয়ে। ১৯৮৬ সাল থেকে তাঁদের প্রেম। ১৯৯৪ সালে সালমান খান এবং তাঁর থেকে ৬ বছরের বড় সঙ্গীতা বিজলানির বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই বিয়ের কার্ডের ভাগ্যে কী জুটেছিল, তা আর জানা যায়নি। কারণ বিয়েই হয়নি। ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতা বিজলানি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনকে বিয়ে করেন। সেই বিয়েও শেষ হয় ২০১০ সালে এসে। অন্যদিকে সালমান খান ৫৩ বছরে পা দিয়েও এখনো ভারতের ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’।

মল্লিকা শেরাওয়াত ও বিজয় সিং
মল্লিকা শেরাওয়াত ও বিজয় সিং

মল্লিকা শেরাওয়াত ও বিজয় সিং
‘দ্য ব্যাচেলরেট অব ইন্ডিয়া: মেরে খেয়ালো কি মাল্লিকা’। লাইফ ওকে চ্যানেলের এই আয়োজনকে একটি অনুষ্ঠান মনে হলেও, এর মধ্য দিয়ে মল্লিকা তাঁর জীবনসঙ্গীকেই খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মল্লিকা তাঁর মা-বাবার সঙ্গে ১২ বছর ধরে চলা ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটান। অনুষ্ঠান চলাকালীন বিজয় একবার মল্লিকার মিডিয়ায় আগমন ও মহেশ ভাটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে সময় মল্লিকা ব্যাপক চটে গেলেও এই রিয়েলিটি শোর শেষ পর্বে বিজয়কেই বিজয়ী ঘোষণা করেন মল্লিকা।
এরপর ১৩ বছরে ছোট বিজয়কে তাঁর প্রেমিক বলেও ঘোষণা করেন। এ তো গেল ২০১৩ সালের ঘটনা। অনেকেই তখন বলেছিলেন, বিজয় মল্লিকার কদর বুঝবে না কোনো দিনই। বিজয়ের পারিবারিক বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। তারপর যা হওয়ার, তা-ই হলো। বছর গড়াতে না গড়াতেই বিজয়ের আচরণ আর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন মল্লিকা। পরিবার মল্লিকার বিয়ের সিদ্ধান্তে খুব খুশি হয়, কিন্তু পাত্র হিসেবে বিজয় সিংকে তাঁদের কখনোই পছন্দ ছিল না। সব মিলিয়ে দুটো পথ দুদিকে চলে গেল।

কারিশমা কাপুর ও অভিষেক বচ্চন
কারিশমা কাপুর ও অভিষেক বচ্চন

কারিশমা কাপুর ও অভিষেক বচ্চন
২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের জন্মদিনে বাগদান হয় কারিশমা কাপুর ও অভিষেক বচ্চনের। তারপর বচ্চনদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে কয়েকবার দেখা গেছে কারিশমাকে। এমনকি তাঁকে ‘বউমা’ সম্বোধন করতে শুরু করেন অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন। শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গেও কারিশমার সম্পর্ক ছিল মধুর। পরে শোনা যায়, কারিশমার মা ববিতা কাপুর নাকি অমিতাভ বচ্চনের সব সম্পত্তি অভিষেকের নামে লিখে দেওয়ার দাবি করেন। তাতে বেজায় খেপে যান জয়া। অভিষেকের সবকিছুতে মায়ের এই হস্তক্ষেপ হবু শাশুড়ির পক্ষেও মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সুতরাং বিয়েটাও হয়নি। বাতিল হয়ে যায় সেই বিয়ে। এরপর ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই। কিন্তু গুঞ্জন উঠেছিল, শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নাকি বিষয়টি সহজ ও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি।

গুরপ্রীত গিল ও বিবেক ওবেরয়
গুরপ্রীত গিল ও বিবেক ওবেরয়

বিবেক ওবেরয় ও গুরপ্রীত গিল
২০০০ সালে বলিউডে পা রাখার আগেই বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে বাগদান হয় গুরপ্রীত গিলের। কিন্তু সে সম্পর্ক টেকেনি বেশি দিন। টিকবে কীভাবে? মাঝখানে এসে দাঁড়ান সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। নিয়ম মেনে বিশ্বসুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু খান বিবেক। চিত্রনাট্য থেকে বাদ পড়ে যান গুরপ্রীত। বিবেক আর ঐশ্বরিয়ার প্রেম নিয়ে ওই সময় সরগরম ছিল বলিউডপাড়া। কিন্তু হঠাৎ আসা সেই সম্পর্কও টেকেনি বেশি দিন। ঝোড়ো হওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় সেই প্রেম। ২০০৬ সালে ‘উমরাও জান’ ছবির সেটে প্রেম হয় ঐশ্বরিয়া আর অভিষেক বচ্চনের। পরের বছর তাঁদের বিয়ে হয়। এক কন্যা আরাধ্যকে নিয়ে তাঁরা বর্তমানে বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি। অন্যদিকে ২০১৫ সালে বিবেক ওবেরয় বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আলভাকে।

বারখা বিশত ও করণ সিং গ্রোভার
বারখা বিশত ও করণ সিং গ্রোভার

করণ সিং গ্রোভার ও বারখা বিশত
সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল উপাধি পাওয়া করণ সিং গ্রোভারের প্রথম স্ত্রী ছিলেন টেলিভিশন তারকা শ্রদ্ধা নিগম। ২০০৮ সালে বিয়ে করে এই জুটি। বছর না গড়াতেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে। ২০১২ সালে করণ আরেক সহকর্মী জেনিফার উইঙ্গেটের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৪ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তখন শোনা যাচ্ছিল, প্রথম স্ত্রী শ্রদ্ধা নিগমের সঙ্গে আবারও প্রেম করছেন তিনি।
কিন্তু খুব কম মানুষই জানে, বিপাশা বসুর বর্তমান স্বামী করণ গ্রোভারের সঙ্গে প্রেম ছিল বারখা বিশতের। এমনকি গোপনে তাঁদের বাগদানও হয়েছিল। যা হোক, এ সম্পর্ক টেকেনি। পরে বারখা বিশত বাঙালি অভিনয়শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে বিয়ে করেন। আর ২০১৫ সালে ‘অ্যালোন’ ছবির সেটে করণ সিংয়ের সঙ্গে প্রেম হয় বিপাশা বসুর। ২০১৬ সালে বিয়ে হয় তাঁদের।

উপেন প্যাটেল ও কারিশমা তান্না
উপেন প্যাটেল ও কারিশমা তান্না

উপেন প্যাটেল ও কারিশমা তান্না
উপেন প্যাটেল ও কারিশমা তান্না ২০১৪ সালে ‘বিগ বস’ সিজন এইটের সেটে শত শত ক্যামেরার সামনে প্রেমে পড়েন। এরপর প্রায় বছরখানেক তাঁরা চুটিয়ে প্রেম করেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ‘নাচ বালিয়ে’র সপ্তম সিজনে উপেন প্যাটেল কারিশমা তান্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর কারিশমা তান্নাও ‘হ্যাঁ’ বলতে দেরি করেননি। কিন্তু ২০১৬ সালে টুইটারে উপেন লিখলেন, ‘প্রেম কখনো সহজ নয়। যখন বিশ্বাস, ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেই সম্পর্ককে আর সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। আমার আর কারিশমার পথ এখন আলাদা। আপনাদের সবার ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’

রাভিনা ট্যান্ডন ও অক্ষয় কুমার
রাভিনা ট্যান্ডন ও অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার ও রাভিনা ট্যান্ডন
বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার ও রাভিনা ট্যান্ডন জুটি একসঙ্গে কয়েকটি হিট সিনেমা উপহার দেয়। ক্যামেরার সামনে প্রেম করতে করতেই বোধ হয় হৃদয়টা দিয়ে দিয়েছিলেন একে অপরকে। তিন বছর প্রেম করেন তাঁরা। রাভিনা একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাগদান হয়েছিল তাঁদের। তবে অক্ষয় নাকি স্থির ছিলেন না। তিনি অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ভেঙে যায় সেই বাগদান।
২০০১ সালে অক্ষয় বিয়ে করেন রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কেল খান্নাকে। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে এখন সুখেই আছেন অক্ষয়। অন্যদিকে ২০০৩ সালে রাভিনাও প্রেমে পড়েন চিত্র-পরিবেশক অনিল থাডানির। দেরি না করে ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজের দুই দত্তক নেওয়া কন্যাকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। নিজের সংসারে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বিদায় বলেন সিনেমা পাড়াকে।

সাজিদ খান ও গহর খান
সাজিদ খান ও গহর খান

সাজিদ খান ও গহর খান
বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক সাজদ খান নাকি প্রেমে পড়েছিলেন ভারতীয় মডেল, অভিনয়শিল্পী, নাচিয়ে আর বিগ বস বিজয়ী গহর খানের। ২০০৩ সালে তাঁদের বাগদানও হয়েছিল। কিন্তু সেই বাগদান কেন ভেঙে গেল, তা জানে না কেউ। এই দুজনের কেউই তা নিয়ে কখনো কথা বলেননি।

সুশান্ত সিং রাজপুত ও অঙ্কিতা লোখান্ডে
সুশান্ত সিং রাজপুত ও অঙ্কিতা লোখান্ডে

সুশান্ত সিং রাজপুত ও অঙ্কিতা লোখান্ডে
জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘পবিত্র রিশতা’য় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুশান্ত ও অঙ্কিতার মধ্যে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাচবিষয়ক টিভি রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলা যা’য় সবার সামনে অঙ্কিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সুশান্ত। পরে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন তাঁরা। কিন্তু সুশান্ত বলিউডে পা রাখার পর থেকেই নানা কানাঘুষা চলছিল। তারপর শোনা গেল, সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন সুশান্ত।
কারণ, তত দিনে অঙ্কিতার কাছ থেকে হৃদয় ফিরিয়ে নিয়ে তা দিয়ে বসেছিলেন আরেক বলিউড তারকা কৃতি শ্যাননকে। এরপর জানা গেল, পুরোনো হয়ে গেছেন কৃতিও। বলিউডে নতুন পা রাখা সারা আলী খানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। আর এবার শোনা যাচ্ছে, বাঙালি চিত্রনায়িকা রেহা চক্রবর্তীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তিনি। অঙ্কিতার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানায় অনেকেই সুশান্তকে প্রতারক দাবি করেন এখনো।

শিল্পা সিন্ধে ও রমিত রাজ
শিল্পা সিন্ধে ও রমিত রাজ

শিল্পা সিন্ধে ও রমিত রাজ
ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা শিল্পা সিন্ধে ও রমিত রাজ। ‘মায়কা’ ও ‘মাত পিতাত কে চারণো মে সোয়ার্গ’ সিরিয়ালে এ যুগল একসঙ্গে কাজ করেন। ২০০৯ সালে তাঁরা প্রেমে পড়েন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘বিগ বস ১১’ জয়ী শিল্পা রমিত রাজকে বিয়ে করবেন বলে পাকা কথা দেন। বাগদানের পর বিয়ের কার্ড ছাপা হয়ে যায়। বিয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তখন হঠাৎ শিল্পা সাফ জানিয়ে দেন, রমিতকে বিয়ে করবেন না তিনি। কিন্তু কেন? কে জানে!

রাখি সাওয়ান্ত ও ইলেশ পারুজানওয়ালা
রাখি সাওয়ান্ত ও ইলেশ পারুজানওয়ালা

রাখি সাওয়ান্ত ও ইলেশ পারুজানওয়ালা
রাখি সাওয়ান্তের সঙ্গে মিল রয়েছে আরেক বলিউড তারকা মল্লিকা শেরাওয়াতের। ২০০৯ সালে রাখি সাওয়ান্ত ও ইলেশের সম্পর্ক শুরু হয় এক টিভি শো থেকে। ওই শোর নাম ছিল ‘রাখি কা স্বয়ম্ভর’। সেখানে রাখি ইলেশ পারুজানওয়ালাকে নির্বাচন করেন। ১৬ জন ব্যাচেলর অংশগ্রহণ করেন ওই শোতে। যা হোক, শো শেষ, সম্পর্কও শেষ। এরপর বিতর্কের রানি রাখি একাধিকবার দীপক কালালের সঙ্গে নিজের বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে চলতি আগস্টের শুরুতে হোটেলের কক্ষে বিয়ের পোশাক, মাথায় সিঁদুর আর হাতে মদের গ্লাস নিয়ে রাখির একটি ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাখি জানান, ছবিটি তিনিই পোস্ট করেছেন। বলেছেন, ‘আমি বিয়ে করেছি।’ ওয়েবসাইটে রাখি সাওয়ান্ত আরও জানিয়েছেন, গত ২৮ জুলাই মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যবসায়ী রীতেশকে বিয়ে করেছেন।

রতন রাজপুত ও অভিনব শর্মা
রতন রাজপুত ও অভিনব শর্মা

রতন রাজপুত ও অভিনব শর্মা
৩২ বছর বয়সী রতন রাজপুত ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা। তাঁকে দেখা গেছে বিগ বসের মঞ্চেও। রাখি সাওয়ান্তের মতো রতন রাজপুতও ‘স্বয়ম্ভর সভা’য় সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন অভিনব শর্মাকে। যা হোক, ওই শো শেষ হওয়ার পর রতন রাজপুতও সম্পর্ক চুকিয়ে দেন। রতন বলেন, তিনি অভিনবকে বিয়ে করতে পারবেন না। কারণ, জ্যোতিষশাস্ত্রে নাকি তাঁদের বন্ধন মিলছে না!