ঘরে থেকেই 'এক চিলতে রোদ্দুর'

স্বল্পদৈর্ঘ্য অভিনয়ে করেছেন ফারজানা ছবি ও অনির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত
স্বল্পদৈর্ঘ্য অভিনয়ে করেছেন ফারজানা ছবি ও অনির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত

ঘরে বানানো স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটির নাম এক চিলতে রোদ্দুর। পরিচালনায় অসীম গোমেজ, অভিনয়ে ফারজানা ছবি, এ কে আজাদ সেতু ও শিশুশিল্পী অনির্বাণ। সিনেমার দুটি অংশ। সেই দুভাগের মাঝখানে একটা দেয়াল। দেয়ালের এপাশে করোনায় আক্রান্ত এক বাবা। ওপাশে তাঁর স্ত্রী, সন্তান আর অন্যরা। এপাশে বাবা ভাবছে কত কথা। ওপাশে অন্যরা জানছে, পরিবারের একজন মানুষের করোনা হলে কী বিপর্যয় হয়! ছোট্ট ছেলে বাবার স্পর্শের জন্য দরজায় হেলান দিয়ে বসে আছে। দরজার এপাশ থেকে বাবা কল্পনায় সন্তানের কোমল অনুভব নিচ্ছে। তারপর একটা সময় সমস্ত পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করে করোনা জয়ী হয়, কোভিড–১৯ জানান দেয়, দাম্পত্য সম্পর্কের চেয়ে, বাবা–ছেলের সম্পর্কের চেয়ে, পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে সে-ই অধিক শক্তিশালী।

স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিএক চিলতে রোদ্দুর এর একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিএক চিলতে রোদ্দুর এর একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ফারজানা ছবি এই সিনেমার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কেবলই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কুড়িয়ে বেড়াচ্ছি। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে করোনার ভয়াবহতা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা এখন খুবই জরুরি। এই চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো আমার ছোট ছেলে অনির্বাণ অভিনয় করেছে, আর চিত্রধারণের কাজ করেছেন আমার স্বামী অধ্যাপক তন্ময় সরকার। আমার কর্মজগতে বাবা ও ছেলের একই সঙ্গে এই অভিষেক আমার কাছে এই কঠিন সময়ের “এক চিলতে রোদ্দুর” হয়ে রইল। এর আবহ সংগীতও আমার গাওয়া।’

অন্যদিকে এ কে আজাদের অংশের চিত্রধারণ করেছে তাঁর সাত বছর বয়সী কন্যা। ছবিটি এখনো সম্পাদনার টেবিলে রয়েছে। এর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অসীম গোমেজ বললেন, ‘সর্বোচ্চ সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও আন্তর্জাতিক মানের একটি কাজ করা যায় কি না, তা-ই নিরীক্ষা করে দেখলাম। এখন দেখা যাক, দর্শক কীভাবে গ্রহণ করেন।’