'বিদায় নিচ্ছি না'

ববিতা l ছবি: প্রথম আলো
ববিতা l ছবি: প্রথম আলো

আজ মুক্তি পাচ্ছে ববিতা অভিনীত নতুন ছবি পুত্র এখন পয়সাওয়ালা। অনেকেই বলছেন, এটাই তাঁর শেষ ছবি। কিন্তু ববিতা কী বলেন?
আজ আপনার নতুন ছবি মুক্তি পেল। নতুন ছবি নিয়ে পুরোনো একটা প্রশ্ন করি—কেমন লাগছে?
অবশ্যই আনন্দের খবর। আমার বিশ্বাস ছবিটি অনেকেরই ভালো লাগবে। নারগিস আক্তারের ছবিতে সব সময় একটা বার্তা থাকে। এখানেও তা-ই। ছবিটি মূলত মা আর ছেলের দ্বন্দ্ব নিয়ে। এই দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানার জন্য ছবিটি হলে গিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।
শোনা যাচ্ছে, এটাই আপনার শেষ ছবি?
এটা একদিক থেকে সত্যি। তবে বলতে চাই, আমি অভিনয় থেকে বিদায় নিচ্ছি না। আপাতত ডিজিটাল ফরম্যাটের সিনেমায় অভিনয় করা ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ, ডিজিটাল ছবিগুলো আমি ঠিক বুঝি না। কোনটা নাটক, কোনটা সিনেমা—আলাদা করা কঠিন। তা ছাড়া এখন যেসব ছবি হচ্ছে, সেখানে ববিতার অভিনয়ের জায়গা নেই। আমাদের ঘিরে সিনেমা কোথায় হচ্ছে? অথচ দেশের বাইরে তাকান। সব বয়সীদের নিয়ে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন পরিচালকেরা। তাই আমার বক্তব্য হলো, ডিজিটাল নয়, যদি আমাকে মূল্যায়ন করে কোনো সিনেমা তৈরি হয় এবং আমার মনের মতো কোনো চরিত্র বা গল্প পাই, তাহলে অবশ্যই অভিনয় করব।
নতুন পরিচালক ও কলাকুশলীদের নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
আমি নতুনদের নিয়ে আশা করি, কিন্তু আশার আলো দেখি না। এখনকার অভিনয়শিল্পীরা হয়তো মেধাবী। কিন্তু তাঁদের মেধার ব্যবহার কি হচ্ছে? গ্রাম্য একটা মেয়ের চরিত্রে নায়িকা কড়া মেকআপে পর্দায় হাজির হচ্ছেন। এটা কি ওই চরিত্রের সঙ্গে মানানসই? দেখা যায় ওই পরিচালক তাঁকে সেটা পরিবর্তনও করতে বলতে পারছেন না। এ অবস্থায় কী করে ভালো ছবির আশা করি?

এই সমস্যা কাটবে কী করে?
এটা আমার একার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সবাই মিলে উপায় বের করতে হবে। আমি আশাবাদী, একটা পরিবর্তন আসবেই।
তাহলে ববিতাকে আবারও চলচ্চিত্রে দেখা যাবে?
দেখুন, আজকের ববিতা অনেক কাঠখড় পুড়ে ববিতা হয়েছেন। আমার ঘরে দেশি-বিদেশি ৬০ থেকে ৭০টা পুরস্কার রয়েছে। অনেক বড় মাপের পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই ববিতাকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে অবশ্যই আবার অভিনয় করব।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক