শিকড়সন্ধানী শিল্পীরা

১২ নভেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব’। এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশসহ মোট পাঁচটি দেশের শিল্পীরা। এ দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের পাশাপাশি দেশের বাইরের লোকগানের তারকা শিল্পীরাও এ উৎসবের অংশ হতে যাচ্ছেন। পাঠকদের সঙ্গে দেশের বাইরের সেসব শিল্পীকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। ধারাবাহিক এ আয়োজনে আজ থাকছে ভারতের গানের দল ইন্ডিয়ান ওশান, নুরান সিস্টারস ও পাপনের কথা।
ইন্ডিয়ান ওশানের শিল্পীরা
ইন্ডিয়ান ওশানের শিল্পীরা

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে যাত্রা করে ইন্ডিয়ান ওশান। ভারতের আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক থেকে উঠে আসা সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড। ভারতীয় সংগীতে নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করেছে ব্যান্ডটি। তাদের গানে রয়েছে শ্লোক, সুফি আর জ্যাজের মিশ্রণ। ফিউশন মিউজিক তাদের সামনে নিয়ে এসেছে এবং পরিচিত করে তুলেছে সারা বিশ্বে। গানের এই দলের সদস্যরা হলেন নিখিল রাও, অমিত কিলাম, রাহুল রাম, হিমাংশু যোশি ও তুহিন চক্রবর্তী। এ পর্যন্ত সাতটি অ্যালবাম বেরিয়েছে তাঁদের। ইন্ডিয়ান ওশান গান করেছে চলচ্চিত্রেও। ওস্তাদ গুলশান মীরের দুই মেয়ে জ্যোতি নুরান ও সুলতানা নুরান। ছোটবেলা থেকেই তাঁরা বাবার কাছ থেকে সুফিসংগীতের ওপর তালিম নেন। নিজেদের ঐতিহ্যের সঙ্গে থেকে শিকড়সন্ধানী গান গেয়ে ভারতে জনপ্রিয় হন তাঁরা। পরিচিতি পান ‘নুরান সিস্টারস’ নামে। তাঁদের গানগুলো অল্প সময়েই পৌঁছে যায় বিশ্বের নানা প্রান্তে।
এ সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি নাম পাপন। আসামের দুই জনপ্রিয় শিল্পী খগেন মহান্ত আর অর্চনা মহান্তের সন্তান পাপনের গানের সঙ্গে পরিচয় ছোটবেলায়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গানের সঙ্গে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার পাপনের গানে এনেছে অন্য মাত্রা। ২০০৫ সালে প্রথম অ্যালবাম জোনাক রাতি থেকে শুরু হয় তাঁর জনপ্রিয়তা। পাপন একই সঙ্গে বাংলা, আসামিয়া ও হিন্দি ভাষায় গান করেন। ২০০৭ সালে গঠন করা হয় নতুন ব্যান্ড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এই ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী পাপন।
মেরিল নিবেদিত তিন দিনের ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উত্সব’ যৌথভাবে আয়োজন করেছে মাছরাঙা টেলিভিশন ও সান ইভেন্টস। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ উত্সবে গান করবেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও চীনের শিল্পীরা। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়, চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।