পরিচয় সংকট যখন জীবনভর

জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ‘আইডি ক্ল্যাশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে একটি পরিবেশনা  l ছবি সংগৃহীত
জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ‘আইডি ক্ল্যাশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে একটি পরিবেশনা l ছবি সংগৃহীত

তাঁরা না পুরুষ, না নারী। এ দুটো পরিচয়ের বাইরে থেকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সারা জীবন আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগেন। জীবনভর সেই সংঘর্ষের একটি রূপই দেখা গেল ‘আইডি ক্ল্যাশ’ পরিবেশনায়।
গ্যেটে ইনস্টিটিউটের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় গত বৃহস্পতিবার থেকে হচ্ছে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সংঘর্ষ নিয়ে একটি পরিবেশনা ও শিল্প স্থাপনা। আজ সন্ধ্যায় শেষবারের মতো পরিবেশনাটি দেখা যাবে। পরিচালনা করেছেন এনজি হিসেল ও রোল্যান্ড কায়সার।
পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন জার্মানির মিশেল ও বুরখার্ট এবং বাংলাদেশের অনন্যা ও কথা। পরিবেশনায় সমান্তরালে তাঁরা বলতে থাকেন দুই দেশের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ট্রান্স সেক্সুয়াল বা হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনগাথা।
মিশেলের মতো ট্রান্স সেক্সুয়াল নন বুরখার্ট। তিনি মনে করেন, তিনিও হতে পারতেন মিশেলের মতো। দর্শকদের জন্য তিনি মিশেলের গল্প লেখেন। প্রজেক্টরের আলোয় সে গল্প ভাসে পর্দায়। মিশেল থাকেন জার্মানির আখেন শহরে। কয়েক বছর আগেও তিনি ছিলেন মিখাইল। তিন সন্তানের জনক তিনি। ২০১০ সালে মিখাইল নিজের মধ্যে একজন নারীকে অনুভব করতে থাকেন। ধীরে ধীরে পরিবার ও সহকর্মীদের থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। গত দুই বছরে আইনের দৃষ্টিতে তিনি একজন নারী।
অন্যদিকে অনন্যা ও কথা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখান হিজড়াদের জীবন। তাঁদের প্রশ্ন, রাস্তায় বের হলে কোনো নারী বা পুরুষকে তো কটাক্ষ শুনতে হয় না। আমাদের বেলায় কেন সেটা হয়? আমরাও তো অন্যদের মতোই মানুষ!