অলিভিয়ার একশ বছর হলো আজ

শতবর্ষী অলিভিয়া
শতবর্ষী অলিভিয়া
অলিভিয়া ডি হ্যাভিল্যান্ড
অলিভিয়া ডি হ্যাভিল্যান্ড

হলিউডের স্বর্ণযুগের তারকা অলিভিয়া ডি হ্যাভিল্যা​ণ্ড আজ পূর্ণ করলেন তাঁর একশ বছর! ১৯১৬ সালের ১ জুলাই তাঁর জন্ম। স্বর্ণযুগের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের মধ্যে তিনিই বর্ষীয়ান। পুরুষদের মধ্যে তাঁর সময়কার শিল্পী কার্ক ডগলাস এখনও বেঁচে আছেন। আগামী ডিসেম্বরে কার্ক ডগলাসের একশ বছর পূর্ণ হবে। বলে রাখা ভালো, মাইকেল ডগলাসের বাবা অসাধারণ অভিনেতা কার্ক ডগলাস চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন অলিভিয়ার ১০ বছর পর!
অলিভিয়া ১৯৩৭ সালে নির্মিত ‘ক্যাপ্টেন ব্লাড’ ও ১৯৩৮ সালে নির্মিত ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব রবিন হুড’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তবে দারুণ ব্যবসাসফল ছবি ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’-এ অভিনয় করা ছিল তাঁর বিশাল অর্জনের একটি। এই ছবির মূল চরিত্র স্কারলেট-এর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তারকাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরিচালককে অলিভিয়া বলে রেখেছিলেন, তিনি অভিনয় করতে চান পার্শ্বচরিত্র মেলানির ভূমিকায়। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বছর তিনি সেটা পাননি।
আজ অলিভিয়া ডি হ্যাভিল্যান্ডের জন্মশতবর্ষে তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা জেনে নিন:

জোয়ান (বাঁয়ে) ও অলিভিয়া
জোয়ান (বাঁয়ে) ও অলিভিয়া

১. অলিভিয়ার বাবা ওয়াল্টার ডি হ্যাভিল্যান্ড পেশায় ছিলেন আইনজীবী ও শিক্ষক। মা লিলিয়ান ডি হ্যাভিল্যান্ড ছিলেন অভিনয়শিল্পী।
২. জোয়ান ফন্টেইন অ​লিভিয়ার ছোট বোন। অ্যালফ্রেড হিচককের ‘রেবেকা’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন ফন্টেইন। কিন্তু দু’বোনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায়। ২০১৩ সালে ৯৬ বছর বয়সে ফন্টেইন মারা যান।
৩. অ​লি​ভিয়া দুবার বিয়ে করেছিলেন। মার্কাস গুদ্রিচকে তিনি বিয়ে করেন ১৯৪৬ সালে। তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে ১৯৫৩ সালে। এই ঘরে ১৯৪৯ সালে বেঞ্জামিন নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বেঞ্জামিন ১৯৯১ সালে মারা গেছেন। পিয়ের গালান্তে তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। ১৯৫৫ সালের বিয়ে টিকেছিল ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৫৬ সালে গিসেলে নামে একটি কন্যা সন্তানের মা হন তিনি। গিসেলে এখনও বেঁচে আছেন।
৪. তিনি পাঁচবার অস্কারে মনোনয়ন পান। জয়ী হন দুবার। ১৯৪১ সালে তি​নি ‘হোল্ড ব্যাক দ্য ডাউন’ ছবির জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বছর ‘সাসপিশন’ ছবিতে অভি​নয়ের জন্য অস্কার জিতে নেন তাঁর ছোট বোন ফন্টেইন। ১৯৪৭ সালে ‘টু ইচ হিজ ওউন’ ও ১৯৫০ সালে ‘দ্য হেইরিস’ ছবির জন্য অলিভিয়া অস্কার পান।
৫. ‘এভরি ফ্রেঞ্চ ম্যান হ্যাজ ওয়ান’ নামে ফরাসি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে লেখা তাঁর বই প্রকাশিত হয়।
৬. ২০০৮ সালে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের হাত থেকে তিনি ‘ন্যাশনাল মেডেল অব আর্ট’-পান।
৭. ২০১০ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি তাঁর হাতে ‘লিজিয়ন অব অনার’ তুলে দেন।