আট দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী উড়োজাহাজে ল্যাপটপে নিষেধাজ্ঞা

মুসলিম প্রধান আটটি দেশের ১০টি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রগামী উড়োজাহাজের যাত্রীদের কেবিন ব্যাগে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ মঙ্গলবার জানায়, তাদের কাছে খবর আছে, উগ্রবাদীরা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ভেতরে বোমা বহন করে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজকে টার্গেট করবে। আজ এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কেবিনে সেলফোন বা স্মার্টফোনের চেয়ে বড় আকারের কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ যাত্রীরা সঙ্গে রাখতে পারবে না। এ জন্য আটটি দেশের নয়টি এয়ারলাইনকে রাত তিনটা থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এমনকি সহজে বহনযোগ্য গেম কনসোল পড়েছে।

যেসব বিমানবন্দর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে, সেগুলো হলো জর্ডানের আম্মানে কুইন আলিয়া ইন্টারন্যাশনাল; মিসরের কায়রো ইন্টারন্যাশনাল; তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক; সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল; সৌদি আরবের রিদ্দায় কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল; কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল; মরক্কোর কাসাব্লাংকার মোহাম্মদ ফাইভ ইন্টারন্যাশনাল; কাতারের দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্য দুবাই ও আবুধাবি।

মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার এসব দেশ থেকে প্রতিদিন যাত্রীবাহী প্রায় ৫০টি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রর উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভ্রমণে থাকা লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।’

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ ধরনের আদেশ জারি করে।

কয়েক বছর ধরে সাধারণ জনগণের হাঁটার রাস্তা ও বিমানবন্দরে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

তবে সিএনএন এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার আল-কায়েদা, যা একিউএপি নামে পরিচিত, তাদের দেওয়া হুমকির সঙ্গে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পৃক্ত হতে পারে।

কেবিন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব এয়ারলাইনগুলোর। কেউ যদি ও নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগে ব্যর্থ হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা বিমান চলাচলের অনুমতি হারাবে।