যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে গলফ মাঠে ট্রাম্প!

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রায়ই গলফ খেলার জন্য সমালোচনার মুখে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামাও অতিরিক্ত মাত্রায় গলফ খেলেছেন। তবে তা ট্রাম্পের তুলনায় কম। আর এ জন্য ওবামাকে এতটা সমালোচনাও সহ্য করতে হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের উসকানির প্রতিক্রিয়ায় ‘নির্দয়’ সামরিক হামলা চালানো হবে বলে আজ শুক্রবার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর আজও কিনা ফ্লোরিডায় ব্যক্তিগত ক্লাবে গলফ খেলতে গেলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের গলফ খেলতে যাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে আনুমানিক দুই কোটি ডলার। ইতিমধ্যেই গলফ খেলতে ১৮ দিন ব্যয় করেছেন তিনি। ট্রাম্পের পূর্বসূরি ওবামা ক্ষমতায় থাকার মেয়াদে ১০০ দিন ‘গলফ সফরে’ বের হন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প যে হারে ‘গলফ সফরে’ বের হচ্ছেন, তাতে তিনি বারাক ওবামাকে ছাড়িয়ে যাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী হান সং রিয়ল বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘ট্রাম্প সব সময়ই তাঁর আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে উসকানি দিচ্ছেন। উত্তর কোরিয়া নয়; যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্প সমস্যার সৃষ্টি করছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যত উসকানিই আসুক না কেন, আমরা এটাকে মানিয়ে নেব। এর মোকাবিলা করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বতঃপ্রণোদিত হামলার মুখে আমরা আমাদের অস্ত্র বসিয়ে রাখব না।’

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর মাধ্যমে কোরীয় পিপলস আর্মি (কেপিএ) একই ধরনের হুমকি দেওয়ার পর হান সং রিয়ল এ মন্তব্য করলেন।

কেপিএ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব। হামলাকারীদের টিকতে দেওয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া তাদের নির্দয় আচরণ মেনে নেবে না।’

ট্রাম্পসহ অন্য বিশ্বনেতাদের কঠোর সতর্কতাকে আমলে না নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছ। গত বছর পিয়ংইয়ং দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পাশাপাশি দেশটি দাবি করে, তারা ‘আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’র উন্নতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে, যে অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।