সিরিয়ায় গাড়িবোমা হামলায় নিহত ৩৯

সিরিয়ায় অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওচিত্র থেকে ছবিটি নেওয়া। ছবি: রয়টার্স
সিরিয়ায় অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওচিত্র থেকে ছবিটি নেওয়া। ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলমুক্ত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শহরগুলো থেকে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার গাড়িবহরে বোমা হামলা হয়েছে। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।

ওই গাড়িবহর অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রশিদিন অঞ্চলে অপেক্ষা করছিল। স্থানীয় সময় শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় একটি তল্লাশিচৌকির কাছে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সেখানেই অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই বিস্ফোরণে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আলেপ্পোর একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এতে ৬০ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি গাড়ি চালিয়ে ওই বহরের কাছে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই গাড়িটি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে ত্রাণের বদলে সেটি ছিল গাড়িবোমা।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়ার সেনারা বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এলাকার উদ্বাস্তুদের সরিয়ে নেওয়া বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের উভয় পক্ষের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে হাজারো উদ্বাস্তু আটকা পড়ে। চলমান সংঘাতে উভয় পক্ষের দখলে থাকা চার শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে ‘চার শহর’ চুক্তি করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চুক্তির আওতায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা দুটি শহরের এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি শহরের প্রায় ৩০ হাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার কথা। বর্তমানে সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি শহরের মধ্যে পাঁচ হাজার ও বিদ্রোহীদের দুটি শহরের ২ হাজার ২০০ জন অবরুদ্ধ বাসিন্দা আটকা রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘দেশটিতে দৈনন্দিন সহিংসতার চক্রে পড়ে আটকা’ রয়েছে ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আজকের হামলার পর ওই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।