আসামের শহীদদের স্মরণে কলকাতায় মিছিল

ভারতের আসামে ভাষা শহীদদের স্মরণে আজ কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতি আরও ১৫টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে কলকাতায় বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।
ভারতের আসামে ভাষা শহীদদের স্মরণে আজ কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতি আরও ১৫টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে কলকাতায় বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

ভারতের আসামে ভাষা শহীদদের স্মরণে আজ শুক্রবার কলকাতায়ও পালন করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।
কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতি আরও ১৫টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে কলকাতায় বের করে বর্ণাঢ্য বাংলাভাষা মিছিল। কলকাতার কলেজ স্কয়ারের বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয় এই মিছিল। শেষ হয় কলকাতার বড় বাজারে। মিছিলে পা মেলান কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ।

মিছিল থেকে তোলা হয় বেশ কিছু দাবি। দাবিগুলো হলো—পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ব্যাপকভাবে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে, অফিসে আদালতের কাজকর্ম বাংলা ভাষায় করতে হবে, বিভিন্ন সরকারি আধা সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের সাইনবোর্ডে অন্যান্য ভাষার পাশে বাংলাকে আবশ্যিক করতে হবে, স্কুল কলেজে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও বাংলাভাষা পড়ানো আবশ্যিক করতে হবে, বাংলা ভাষাকে মর্যাদার সঙ্গে এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি ভারতের সব মাতৃভাষাকে সমানাধিকারের আসনে স্থান দিতে হবে।

১৯৬১ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকার শিলচর রেলস্টেশনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১১ জন ভাষাসৈনিক। ওই দিন কাছাড় জেলার শিলচর রেল স্টেশনে জড় হয়েছিল হাজারো মানুষ। শুরু করেছিল সত্যাগ্রহ আন্দোলন। দাবি ছিল রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া। এই আন্দোলনকে ভালো চোখে নেয়নি আসামের তৎকালীন সরকার। আর এই আন্দোলনকে দমনের জন্য সেদিন হিংস্র হয়ে উঠেছিল আসামের আধাসামরিক বাহিনী। গুলি ছুড়ে নিরীহ মানুষের শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ওপর। সেই গুলিতে প্রাণ দিয়েছিল ১১ জন তরুণ-তরুণী। সবারই বয়স ছিল ২৫ বছরের নিচে। প্রতি বছর ১৯ মে তাঁদের স্মরণে এখনো গোটা বরাক উপত্যকায় ভাষা শহীদ দিবস পালিত হয়ে আসছে।