উ. কোরিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দ. কোরিয়ার

আন্তর্জাতিক আইনকানুন উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক আইনকানুন উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

পিয়ংইয়ংয়ের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই প্রস্তাব হালে পানি পেলে তা হবে ২০১৫ সালের পর শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে—এমন সব ধরনের বৈরী কর্মকাণ্ড বন্ধ করাই এই আলোচনার লক্ষ্য হওয়া উচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী।

সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে জরুরি। তিনি একটি শান্তি চুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।

পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার গুরুত্ব রয়েছে বলেও মত দেন মুন জায়ে-ইন।

আন্তর্জাতিক আইনকানুন ও পশ্চিমাদের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশটি একটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষার পর অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী সু চো-সুক এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যবর্তী বেসামরিক জোন হিসেবে পরিচিত পানমুজনে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার একটি ভবনে আলোচনা হতে পারে।

২১ জুলাই এই আলোচনা হতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া আশা করছি।’