অবরোধ, ঘেরাও আর বন্ধে অচল ত্রিপুরা

পৃথক রাজ্যের দাবিতে অবরোধ আর রাজ্যভাগের চক্রান্ত বন্ধে পাল্টা অবরোধে জেরবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যটিতে ১০ জুলাই থেকে পৃথক তুইপ্রাল্যান্ডের দাবিতে চলছে জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে সিপিএম পরিচালিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সরকারি আবাসনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কংগ্রেস আবার আগামীকাল বুধবার ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে।

দার্জিলিংয়ের গোর্খাল্যান্ডের মতো ত্রিপুরায় তুইপ্রাল্যান্ডের দাবি নয় দিন ধরে চলছে। এই রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক ও রেলপথে অবরোধ চলছে। ফলে রাজ্যবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। উপজাতিদের দল আইপিএফটির এনসি দেববর্মা গোষ্ঠী রাজ্যভাগের দাবিতে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দিল্লিতে আজই বৈঠকে বসতে পারেন আইপিএফটির নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার দিল্লিতে বৈঠকের জন্য দরবার করেন। তবে এর মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রাজ্যভাগের দাবি মানা হবে না। রাজ্যবাসীও এটা চান না।

অবরোধ এড়াতে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে আজ বিজেপি আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে। হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিজেপি নেতারা ঘেরাও করেন রাখেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব প্রথম আলোকে বলেন, রাজ্য সরকারের নীরবতায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। তারই প্রতিবাদে এই ঘেরাও কর্মসূচি।

অন্যদিকে, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির উসকানিতে দুর্ভোগের অবরোধ’ এবং ‘রাজ্য সরকারে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস’ আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ।’

সিপিএমের রাজ্য শাখার তরফে রাখাল মজুমদার এক বিবৃতিতে কংগ্রেসের ডাকা বন্‌ধের বিরোধিতা করে রাজ্যবাসীকে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানান।