শুধু সন্দেহে সম্পর্ক ছিন্ন করাটা ঠিক হবে না

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কে সাম্প্রতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে পারে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এমন আভাস মিলেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গতকাল সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পারস্পরিক উত্তেজনা নিরসনের একটা পথ বের করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের সন্দেহের একটিমাত্র বিষয় নিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করাটা মোটেও ফলপ্রসূ হবে না।

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আসিয়ানের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়াও ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে কিছুটা আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। রুশ-মার্কিন মতভেদ আছে এমন বিষয়গুলোরও মীমাংসার পথ খুঁজতে হবে।

টিলারসন গত রোববার ম্যানিলায় এক আন্তর্জাতিক বৈঠকের আগে এক ফাঁকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনিচ্ছা সত্ত্বেও মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার আইনে স্বাক্ষর করার পর রোববারই প্রথম দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দেখা হয়। রাশিয়া ওই নিষেধাজ্ঞাকে পূর্ণ মাত্রার বাণিজ্য লড়াই আখ্যা দিয়েছে।

লাভরভ রোববার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজনা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত রয়েছে।

টিলারসন বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে তিনি লাভরভের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিষয়টি কতটা মারাত্মক ও ক্ষতিকর হিসেবে কাজ করেছে, তা রাশিয়াকে বুঝতে সহায়তা করাই ছিল ওই আলোচনার উদ্দেশ্য। তবে এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হলে সেটা অনুচিত হবে।

টিলারসনের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে কাজ করতে চায়, আর একই সঙ্গে এই পরস্পরের মধ্যে বিভক্তির জন্য দায়ী অবিশ্বাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও কথা বলতে চায়। এ কারণেই কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পর্ক ধরে রাখা প্রয়োজন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইউক্রেন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বেশি কাজ করতে প্রস্তুত আছে। মস্কোর ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়ার বাধা নেই।