আমাজনে ৩৮১টি নতুন প্রজাতির সন্ধান

২০১৪-২০১৫ মেয়াদে গবেষণায় আমাজন অঞ্চলে প্যাপিলিওলেসবিয়ান অ্যাসলে নামের প্যাপিলিওলেসবিয়ান বর্গের নতুন প্রজাতির এই মাছের সন্ধান পাওয়া যায়। ছবি: এএফপি
২০১৪-২০১৫ মেয়াদে গবেষণায় আমাজন অঞ্চলে প্যাপিলিওলেসবিয়ান অ্যাসলে নামের প্যাপিলিওলেসবিয়ান বর্গের নতুন প্রজাতির এই মাছের সন্ধান পাওয়া যায়। ছবি: এএফপি

বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজনে দুই বছর মেয়াদের এক গবেষণায় ৩৮১টি নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

শীর্ষ স্থানীয় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিল (ডব্লিউডব্লিউএফ) ও ব্রাজিলের মামিরাওয়া ইনস্টিটিউট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের করা ওই গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছরের ওই গবেষণায় গড়ে প্রতি দুই দিনে একটি করে নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।

তবে গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন সন্ধান পাওয়া পশু ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতিগুলো এমন অঞ্চলে পাওয়া গেছে, যেখানে মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে।

এর আগে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাজনে দুই সহস্রাধিক নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়।

মারাতোকারা বর্গের মারাতোকারা গেসমোনি নামের মাছের এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় ব্রাজিলের জিংগু নদীর মাঝখানের একটি চরের একটি অস্থায়ী জলাশয়ের মধ্যে। ছবি: এএফপি
মারাতোকারা বর্গের মারাতোকারা গেসমোনি নামের মাছের এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় ব্রাজিলের জিংগু নদীর মাঝখানের একটি চরের একটি অস্থায়ী জলাশয়ের মধ্যে। ছবি: এএফপি

গতকাল বুধবার ব্রাজিলের সাও পাওলোতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এটি আমাজনে অনুসন্ধানে নিয়োজিত গবেষকদের ধারাবাহিক গবেষণার তৃতীয় প্রতিবেদন। ২০১৪ ও ২০১৫ এই দুই বছর গবেষণাটি করা হয়।

নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের জন্য খ্যাত আমাজনে সন্ধান পাওয়া ৩৮১টি নতুন প্রজাতির মধ্যে উদ্ভিদের প্রজাতি রয়েছে ২১৬টি। এ ছাড়া মাছের ৯৩টি, উভচর ৩২টি, স্তন্যপায়ী ২০, সরীসৃপ ১৯ এবং পাখির একটি প্রজাতি রয়েছে।

ডব্লিউডব্লিউএফের ব্রাজিল আমাজন কর্মসূচির সমন্বয়ক রিকার্ডো মেলো বলেন, গবেষকেরা এখনো কয়েক শ প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করছেন। এ অঞ্চলে আরও অনেক কাজ করতে হবে।

মেলো বলেন, ‘নতুন আবিষ্কার করা ৩৮১টি প্রজাতির সন্ধান এমন সব এলাকায় পাওয়া গেছে, যেসব এলাকায় মানুষ বন ধ্বংস করছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আবিষ্কার করার আগেই অনেক প্রজাতি লুপ্ত হয়ে যেতে পারে।’