গবেষণাপত্র বাঁচাতে এমন ধ্বস্তাধ্বস্তি!

নুটসির কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।
নুটসির কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।

কোনোভাবেই গবেষণাপত্রটি হারাতে চাননি নোজোলো নুটসি। এটি জমা দিলেই শেষ হবে তাঁর স্নাতকোত্তর পর্বের পড়াশোনা। আর তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও লড়লেন দুজন ছিনতাইকারীর সঙ্গে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল হেলথ ল্যাবরেটরি সার্ভিসের চিকিৎসা বিজ্ঞানী নুটসি। আণবিক প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তরের শেষ পর্যায়ে আছেন। গবেষণাপত্র তৈরির কাজও গুছিয়ে এনেছেন। তবে এমন সময়ই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সেটি প্রায় হারাতে বসেছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে জোহানেসবার্গের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন নুটসি। দুপুরের খাবারের ব্যাগেই ছিল গবেষণাপত্রটি। আর কোনো অনুলিপিও ছিল না সেটির। হঠাৎ একটি গাড়িতে করে এসে তাঁর পথ আটকায় দুই ছিনতাইকারী। তারা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাঁর ব্যাগটি। নুটসি বাধা দেন তাদের। একপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের নল চেপে ধরা হয় নুটসির মাথায়, তাঁকে গাড়িতে তোলার চেষ্টাও করে দুর্বৃত্তরা। এত কিছুর পরও হাতের ব্যাগটি ছাড়েননি তিনি।

ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে হাল ছেড়ে দেয় দুই ছিনতাইকারী। আবার গাড়িতে উঠে ওই জায়গা থেকে সরে যায় তারা। আর পুরো ঘটনাটি ভিডিও হয়ে যায় রাস্তায় থাকা ক্যামেরায়।

নুটসি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার আর কোনো উপায় ছিল না। কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ ধরনের কাজ করা সব সময় ঠিক না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার মাস্টার্স নিয়ে ভাবছিলাম। আমার গবেষণার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। এ সময় আমি এটা হারাতে চাইনি।’

গবেষণাপত্রটি ছিনতাই হলে নুটসির মাস্টার্স শেষ করতে আরও এক বছর বেশি সময় লাগত। নুটসি বলেন, ‘আমি মাস্টার্স শেষ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি। এ বছরই পড়া শেষ করতে চাই। কোনো বাধা আসতে দিতে চাইনি।’

এদিকে এ ঘটনায় ওই দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।