পশ্চিমবঙ্গে বিসর্জন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব

দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন ইস্যুতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুর্গাপূজার বিসর্জন নিয়ে বিতর্কে বিজেপিসহ সংঘ পরিবারের আরএসএস, বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। চক্রান্ত, অপপ্রচার বরদাশত করা হবে না।’

এ বছরও দুর্গাপূজা ও মহররম কাছাকাছি সময়ে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, দুর্গাপূজার দশমীর দিন চারটার মধ্যে মূর্তি বিসর্জন দিতে হবে। আর পরদিন মহররম থাকায় সেদিন কোনো বিসর্জন হবে না। এরপর থেকে আবার বিসর্জন চলবে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলাও হয়েছে। তবে আদালতে সরকার জানিয়েছে, দশমীতে রাত ১০টা পর্যন্ত বিসর্জন চলবে। গত শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘১ তারিখ মহরম। ১ তারিখ একাদশী পড়েছে। একাদশীতে আমরা বিসর্জন দিই না। এটা আমাদের কালচার। দশমীর দিনও বিসর্জন হবে। ২ তারিখেও বিসর্জন হবে। ৩ তারিখেও হবে। ৪ তারিখ পর্যন্ত হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে আমরা পূজা আর ঈদ একসঙ্গে সামলেছি। তবে এক দিন বিসর্জন বন্ধ রাখা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজ্য সরকার বলছে, দুর্গাপূজার বিসর্জন করতে পারবে না। আসলে সরকার প্রশাসন চালাতে পারছে না। মুম্বাইয়ে তো পুলিশ দুটি শোভাযাত্রা করায়। কলকাতায় পারছে না। পুলিশ যদি না পারে তা হলে সেনা ডাকুন। এদিকে বিজেপির উদ্যোগে শস্ত্রপূজার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে হনুমান জয়ন্তীতে বিজেপি প্রকাশ্যে তরোয়াল, ত্রিশূল নিয়ে মিছিল করেছিল। পুলিশকে তাই আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের রায়গঞ্জে হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।