সু চির ভাষণের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক

অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স
অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স

চলমান রোহিঙ্গা সংকটে নীরবতা ভেঙেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। এই সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী। তাঁর ৩০ মিনিটের ভাষণের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

দুর্ভোগ অনুভব
‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করে সু চি তাঁর ভাষণে বলেছেন, রাখাইন সংঘাতের শিকার সব মানুষের দুর্ভোগ তাঁরা গভীরভাবে অনুভব করেন।

দোষারোপ এড়ানো
রাখাইনে সহিংসতার কথা স্বীকার করেছেন সু চি। তবে এই সহিংসতার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীকে দোষারোপ করেননি তিনি। সু চি বলেন, তাঁরা প্রকৃত সমস্যা উদ্‌ঘাটন করতে চান। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। সব কথাই তাঁদের শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করে আইন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত
সহিংসতার মুখে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসনে যাচাই-প্রক্রিয়া শুরু করতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে সু চি যে মন্তব্য করেছেন, সেটি তাঁর ভাষণের সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি। সু চি বলেছেন, পালিয়ে যারা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যেকোনো সময় যাচাই-প্রক্রিয়া শুরু করতে তাঁরা প্রস্তুত। প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুসরণের কথা জানান তিনি।

স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণের আহ্বান
রাখাইন পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে বাইরের পর্যবেক্ষকদের মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা আসুন, কী হচ্ছে তা স্বচক্ষে দেখুন, সমস্যার সমাধান চিন্তা করুন।’

সময় দিন
কয়েক দশকের সেনাশাসন থেকে বেরিয়ে আসা মিয়ানমারকে বোঝার আহ্বান জানিয়ে সময় চান সু চি। এ প্রসঙ্গে দেশটির জটিলতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।