সবাই ব্যস্ত সেলফিতে, ডুবে মারা গেল সহপাঠী

সেলফি-জ্বরে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। একটু সুযোগ পেলেই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সেলফি তোলায়। কিন্তু মাঝেমধ্যে সেই সেলফি তোলা নিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। তেমনি এক দুর্ঘটনা ঘটেছে ভারতে বেঙ্গালুরুতে। কলেজের শিক্ষার্থীরা ছবি তোলায় এতই ব্যস্ত ছিল যে খেয়ালই করেনি সাঁতার না-জানা তাদের এক বন্ধু ডুবে গেছে। পুলিশ পরে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে। 


গত রোববার ন্যাশনাল কলেজ অব বেঙ্গালুরুর ২৫ শিক্ষার্থী ওই রামা নগর জেলায় একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে পিকনিক করতে যায়। তাদের মধ্যই কয়েকজনের একটি দল ১০ ফুট গভীর একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে তরুণেরা ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গোসল শেষে দলটি পাশে মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে লক্ষ করে, বিশ্বাস জি নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ। তখনই শুরু হয় খোঁজা। পরে মোবাইলে তোলা ছবিতে দেখা যায়, সবাই যখন সেলফি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিল, বিশ্বাস তখন পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। পরে স্থানীয় কাগালিপুরা থানার পুলিশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে ১৭ বছর বয়সী বিশ্বাসের লাশ।

ওমর নামের এক শিক্ষার্থীরা বলে, সেলফিতে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বাস ডুবে যাচ্ছে, কারও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। বন্ধুরাসহ সবাই সেখানে ছিল, কিন্তু তারা কিছুই দেখতে পায়নি।’

বিশ্বাসের সহপাঠী সঞ্জয় সিদ্ধার্থ বলে, ‘তার আত্মা শান্তি পাক। সে খুব ভালো ছিল। আমরা তাকে মিস করি। সে সব সময় আমার পাশে বসত।’

বিশ্বাসের বাবার দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

এদিকে অবহেলার অভিযোগে সোমবার ন্যাশনাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলেজে প্রতিবাদ হয়েছে। বিশ্বাসের মৃত্যু ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বাসের বাবা গোবিন্দ অটোরিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করেন। বিশ্বাসে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

বিশ্বাসের মা লক্ষ্মী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ যখন ছেলে কোথায় নিয়ে যায়, তখন এর দায় তাদেরই। তারা কীভাবে ছেলেকে রেখে চলে গেল? তথ্যসূত্র: এনডিটিভি