রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ এমপিদের সাহায্য চেয়ে চিঠি
নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা।
গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এ চিঠিতে তাঁরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব গ্রহণে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ জন এমপির কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের ডাক ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কাছে এসব চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি-সংবলিত যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উন্নয়নের নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলার পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সাহায্য দিয়ে আসছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা গত দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়েছে, যা প্রায় ৮ লাখের বেশি।
চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। কিন্তু বৈশ্বিক সমর্থন ছাড়া কাজটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্যোগ কামনা করে চিঠিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। মিয়ানমার সরকার যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও নাগরিক অধিকার দিয়ে এ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ দেয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ এমপিদের অনেকেই হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অবগত নন। আমরা চাই, প্রত্যেক ব্রিটিশ এমপি বিষয়টি জানুক এবং এ নিয়ে কথা বলুক। এতে রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের মনোভাব আরও দৃঢ় হবে।’
আজ শুক্রবার একই ধরনের চিঠি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন দলটির নেতারা।