ট্রাম্পের পরনারী আসক্তি মেনে নিতে পারেননি ইভানা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা রচিত নতুন একটি বইয়ে প্রেসিডেন্টের আগের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের পর্দা সরিয়ে দিয়েছেন। 


ইভানার সঙ্গে ট্রাম্পের দাম্পত্য জীবন ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ‘রেইসিং ট্রাম্প’ নামের বইটিতে ইভানা বলেছেন, ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরের এক দিনে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁদের দাম্পত্য জীবন শেষ হতে চলেছে।

বইটিতে ইভানা লিখেছেন, ‘সোনালি চুলের এক তরুণী আমার সামনে এসে বলেছিল, আমি মারলা। আমি তোমার স্বামীকে ভালোবাসি। তুমি ভালোবাসো? আমি বলেছিলাম, বেরিয়ে যাও, আমি আমার স্বামীকে ভালোবাসি।’ ইভানা লিখেছেন, ওই তরুণীর আচরণ নারীসুলভ ছিল না। তবে এ ঘটনায় তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।

মারলা মেপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়টি কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল। এ নিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট শিরোনাম দিয়েছিল ‘বেস্ট সেক্স আই হ্যাভ এভার হ্যাড’। প্রথম স্ত্রী ইভানার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে ট্রাম্প মারলা মেপলসকে বিয়ে করেন।

‘রেইসিং ট্রাম্প’ নামের বইটি আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে। প্রকাশের আগেই বইটির একটি কপি কিনেছে বার্তা সংস্থা এপি। বইটিতে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ও ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাঁর ভূমিকার কথা লিখেছেন ইভানা। পরবর্তী সময়ে মেপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক হলে ইভানা ও তাঁদের তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভানকা ও এরিক তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভুগবেন। একপর্যায়ে বিচ্ছেদের মাধ্যমে ইভানা এর অবসান ঘটান। বইটিতে ইভানা লিখেছেন, তাঁদের বিচ্ছেদের পর ডোনাল্ড জুনিয়র এক বছর পর্যন্ত তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেননি।

ইভানা লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পুনরায় আন্তরিক হয়েছে। তাঁরা সপ্তাহে একবার কথা বলেন। ট্রাম্পকে টুইটার ব্যবহারে উৎসাহিত করেছেন ইভানা।

চলতি সপ্তাহে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইভানা বলেন, তাঁকে (ইভানা) তাঁর দেশ চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কারণ, তিনি ‘নিখুঁত জীবন যাপন’ করছেন। তবে ওই প্রস্তাবের বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।