জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের ভিডিও বার্তা

দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরু প্রকাশ্যে আসছেন আগামী ৩০ অক্টোবর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন ডেরা থেকে এক ভিডিও বার্তায় প্রকাশ্যে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিমল গুরুং বলেছেন, জনগণের ডাকে তিনি প্রকাশ্যে আসবেন। গোর্খাল্যান্ডের জন্য তিনি রক্ত দিতে প্রস্তুত। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তিনি আত্মগোপন ছাড়বেন। 

গত ১২ জুন থেকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে জনমুক্তি মোর্চা অনির্দিষ্টকালের বনধ শুরু করে। এই বনধকে ঘিরে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ায়। শুরু হয় যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অফিসে হামলা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি। প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের। এসব ঘটনায় জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়। আত্মগোপনে যান বিমল গুরুং, দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি সহ আরও অনেকে।
বিমল গুরুংয়ের আত্মগোপনের দলের হাল ধরেন বিনয় তামাং। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপস করে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হন। বনধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। মমতা বিনয় তামাংকে জিটিএর চেয়ারম্যান করেন। ফলে জনমুক্তি মোর্চা ভেঙে যায়। বিনয় তামাং দলের হাল ধরে দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং পৌরসভার দখল নেন। গত ৭ অক্টোবর জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন বিনয় তামাংরা দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জনমুক্তি মোর্চার অফিস দখলে নেয়। দপ্তর থেকে বিমল গুরুংয়ের ছবি সরিয়ে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হন বিমল। তিনি জনসম্মুখে আসার ঘোষণা দেন।
১৬ অক্টোবর কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে বসছে দার্জিলিং নিয়ে তৃতীয় দফার সর্বদলীয় বৈঠক। প্রথম বৈঠক বসেছিল ২৯ আগস্ট আর দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর। এই তৃতীয় দফার বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।