নামের উচ্চারণ জানতে ভাবী প্রধানমন্ত্রীকে ফোন

জেসিন্ডা আহডার্ন
জেসিন্ডা আহডার্ন

নিউজিল্যান্ডের ভাবী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আহডার্নের নামের উচ্চারণ একটু খটোমটোই। বিশেষ করে শেষের অংশটা। এই উচ্চারণ জানতে অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক টাইগার ওয়েবের কাণ্ড বেশ আলোচিত হয়েছে। তিনি জেসিন্ডার কাছেই তাঁর নামের উচ্চারণ জানতে চেয়েছেন।

রাজনীতির জটিল হিসাব-নিকাশে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ৩৭ বছর বয়সী জেসিন্ডা। আর এটা হলে তিনি হবেন দেশটির দেড় শ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান।

নিউজিল্যান্ডের দৈনিক দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড এক খবরে জানায়, অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওর সাংবাদিক টাইগার ওয়েব গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে টেলিফোন করেন। তিনি জেসিন্ডার নামের উচ্চারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছিলেন। ওয়েবের ফোনকলটি জেসিন্ডার দল লেবার পার্টির কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে জেসিন্ডাই সাড়া দেন। ওয়েব তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, নিউজিল্যান্ডের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর নামের শেষাংশের উচ্চারণ কেমন হবে? জেসিন্ডা জবাব দেন, ‘আহ-ডার্ন’।

জেসিন্ডা পরে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘ঘটনাটা মজার ছিল। আমি একটা বৈঠকে ছিলাম। আমার ডেস্ক ফোন বেজে উঠল, যা খুব বেশি বাজে না। আমি দেখলাম, আন্তর্জাতিক একটি নম্বর থেকে ফোনটা এসেছে। ধরলাম সেটা।’

বিস্মিত ওয়েব পরে ওই ঘটনার বয়ান দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে। সংক্ষিপ্ত সেই ফোনালাপের বিষয়টি জেনে অনেকেই মজা পেয়েছেন। অবাকও হয়েছেন কেউ কেউ।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক টুইট করেছেন, ‘এটাই নিউজিল্যান্ড!’

গত সেপ্টেম্বরে ১২০ আসনের নিউজিল্যান্ড পার্লামেন্ট নির্বাচনে জেসিন্ডার লেবার পার্টি ৪৬টি আসন পায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশের নেতৃত্বাধীন মধ্য ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টি ৫৬ আসনে জিতে শীর্ষস্থানে থাকলেও সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দলটি। এদিকে গ্রিন পার্টির ৮ আসনের সমর্থন পাওয়ার পরও লেবার জোট পর্যাপ্ত আসন নিশ্চিত করতে পারছিল না। ২৬ দিন আলোচনার পর গত বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির নেতা উইনস্টন পিটার্স এই জোটের প্রতি সমর্থন জানান। তাঁর দল নির্বাচনে ৯ আসন পেয়েছে।