৫,৬০০ বিদেশি আইএস জঙ্গি দেশে ফিরেছে!

ইরাক ও সিরিয়ায় একের পর বিপর্যয়ের পর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৫ হাজার ৬০০ বিদেশি সদস্য নিজেদের দেশে ফিরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য সৌফ্যান সেন্টারের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, গত দুই বছরে ৩৩টি দেশ থেকে এসব জঙ্গির ফেরার কথা জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দেশফেরত জঙ্গিরা আগামী দিনগুলোতে এসব দেশের বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।
আইএস ২০১৪ সালের জুনে তাদের কথিত খিলাফতের ঘোষণা দেয়। এ সময় সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে এসে জড়ো হয় ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের অধিকৃত এলাকাগুলোতে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সিরিয়ার কুর্দি ও আরব যোদ্ধারা রাকার ওপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেয়। সিরিয়ার রাকা ছিল কথিত আইএস খিলাফতের রাজধানী।
দ্য সৌফ্যান সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে এই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে আইএসে যোগ দেওয়ার প্রবণতা কমতে থাকে। তখন থেকেই আইএস বিভিন্ন লড়াইয়ে হারতে শুরু করে। আবার বিভিন্ন দেশ আইএসে যোগ দেওয়ার প্রবণতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই এই পরিবর্তন শুরু হয়।
বিশ্বের ১১০টি দেশের আনুমানিক ৪০ হাজার সদস্য আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে আসে। রাকার মতো শহরগুলোর পতনের পর এসব জঙ্গির অন্তত ১৯ হাজারের পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এসব জঙ্গির এখন অবস্থা কী, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
সৌফ্যান সেন্টারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের অবস্থা কাহিল হওয়ার পর এ যাবৎ ৫ হাজার ৬০০ জঙ্গি দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে রাশিয়ায় ৪০০, সৌদি আরবে ৭৬০, তিউনিসিয়ায় ৮০০ এবং ফ্রান্সে ২৭১ জঙ্গি দেশে ফিরেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে কিছু কিছু জঙ্গি ফিরে গেছে।
এ পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে এটা অনুমান করা হয় যে রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সদস্য আইএসে যোগ দিয়েছে। দেশটি থেকে ৩ হাজার ৪১৭ জন আইএসে যোগ দেয়।