যুক্তরাষ্ট্রের 'প্রতিরক্ষা ভাঙতে' সক্ষম রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম নতুন প্রজন্মের একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, ১১ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই আইসিবিএম যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রতিরক্ষাব্যবস্থা’ ভেঙে ফেলতে সক্ষম। এটি ১৫টি যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মিরনিতে অবস্থিত মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র প্লেসেৎস্ক কসমোড্রোম থেকে ‘আরএস-২৮ সারমাত’ ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হবে।

রাশিয়ার জাতীয় দৈনিক কোমেরস্যান্ট-এর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এক খবরে বলেছে, উৎক্ষেপণস্থলের মাটি ও উৎক্ষেপক যন্ত্র প্রস্তুত না হওয়ায় এর আগে কয়েক দফায় পেছানো হয়েছে আইসিবিএমটির পরীক্ষা। এক শ টনের বেশি ওজনের ওই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ এলাকা ধ্বংস করতে সক্ষম। শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতির বেশ কয়েকটি যুদ্ধাস্ত্র (এমআইআরভি) ছুড়ে এই আইসিবিএম যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। পারমাণবিক আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে আগামী দশকের সূচনালগ্নে ক্ষেপণাস্ত্রটি সামরিক বাহিনীতে সংযুক্ত হবে বলে আশা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

তবে আইসিবিএমটির ওজন, যুদ্ধাস্ত্র ও ক্ষমতা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটনভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালিসিসের গবেষক মাইকেল কফম্যান মনে করেন, আরএস-২৮ যে পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র বহন করবে, সেগুলোর ওজনের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজনের একটা অসামঞ্জস্য রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের পারমাণবিক ক্ষমতা ‘পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর’ আহ্বান জানানোর পর রাশিয়ার ওই খবরটি এল। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রাগার ১০ গুণ বাড়াতে চান বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা অবশ্য তিনি অস্বীকার করেছেন। এর পরিবর্তে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতার ‘আধুনিকায়ন’ চান।

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নতুন স্টার্ট (এসটিএআরটি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যার লক্ষ্য ছিল কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র কমিয়ে আনা।