স্পেন নয়, বেলজিয়ামে আত্মসমর্পণ করলেন পুজেমন

কার্লোস পুজেমন। ছবি: রয়টার্স
কার্লোস পুজেমন। ছবি: রয়টার্স

কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া কার্লোস পুজেমনসহ তাঁর চার সহযোগী বেলজিয়ামের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দেশটির কৌঁসুলির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পুজেমনসহ ওই নেতারা স্পেন থেকে পালিয়ে বেলজিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্লোস পুজেমন ও কাতালোনিয়া অঞ্চলের সরকারের চার সাবেক উপদেষ্টা আজ বেলজিয়ামের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কার্লোস পুজেমনের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করা অন্যরা হলেন কাতালোনিয়ার সাবেক কৃষিমন্ত্রী মেরিতসেল সেরেট, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আন্তোনি কমিন, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ইউইস পুজ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ক্লারা পোঁসাতি।

বেলজিয়ামের কৌঁসুলির মুখপাত্র গিলেস দেজেমপি বলেন, বেলজিয়ামের ফেডারেল পুলিশের কাছে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে কার্লোস পুজেমনসহ পাঁচজন তাঁদের আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন। আগামীকাল সোমবার বেলজিয়ামের একজন বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে কি না। তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি না জামিন পাবেন, তা-ও কাল সিদ্ধান্ত হবে।

স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত কাতালোনিয়া সরকারের নয় সদস্য গত বৃহস্পতিবার স্পেনে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এ সময় দেশটির কৌঁসুলিরা তাঁদের গ্রেপ্তারের আবেদন করেন আদালতের কাছে। তবে মামলার শুনানি ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে কাতালোনিয়ার নেতা পুজেমন ও ওই চার সহযোগী আগেই পালিয়ে যান বেলজিয়ামে। বৃহস্পতিবার আদালতের শুনানিতে হাজির না হওয়ায় স্পেনের প্রধান কৌঁসুলি সর্বোচ্চ আদালতকে তাঁদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ জানান। গত শুক্রবার ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি জারি হয়।

গত ২৭ অক্টোবর কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয় পুজেমনকে বরখাস্ত করেন এবং আঞ্চলিক পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করেন। কাতালোনিয়ায় কেন্দ্রের শাসন জারি করা হয়। গত সোমবার স্পেনের সরকারি কৌঁসুলি পুজেমনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিদ্রোহের অভিযোগ আনেন। রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে স্পেনে ৩০ বছরের সাজা হওয়ার বিধান আছে।