সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলায় ৭২ বছরের এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলন সরকার, ওহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও খালেদ রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও আড়াই বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতার নগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারক কুমকুম সিংহ আজ বুধবার এ রায় দেন। এ সময় গোপাল সরকার নামের অভিযুক্তকে ষড়যন্ত্র ও দুষ্কৃতকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দেড় বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারক ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। একজনকে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকিদের ষড়যন্ত্র ও ডাকাতির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর এই মামলার বিচার শেষ হয়। ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ গভীর রাতে রানাঘাট মহকুমার গাংনাপুরের কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড মেরি স্কুলে একদল দুষ্কৃতকারী লুটপাট চালানোর পর ৭২ বছরের এক প্রবীণ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করে। এ সময় আরও তিনজন সন্ন্যাসিনীকে নিগ্রহ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় তারা স্কুলের ১২ লাখ রুপিসহ বেশ কিছু সামগ্রী নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সড়ক ও রেলস্টেশন অবরোধ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দিয়েছিলেন। সিআইডির সদস্যরা ঘটনার প্রধান অভিযুক্তসহ ছয়জন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করে। একজন এখনো পলাতক বলে আদালতে জানানো হয়েছে।