হাতির আক্রমণে মাহুত নিহত

হাতি। প্রথম আলো ফাইল ছবি
হাতি। প্রথম আলো ফাইল ছবি

মাহুতকে পিষে মারল হাতি। ঘটনাটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায়। নিহত মাহুতের নাম খলিল মিয়া (৫০)। আজ বুধবার বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সহকর্মীরা নিয়ে যান বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খলিল মিয়ার মাথার ডান দিকটায় পা দিয়ে আঘাত করে হাতিটি। চ্যাপ্টা হয়ে যায় গোটা মাথাটা। কান ও নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোয়। হাতিটির নাম মধু।

খলিল সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায় অস্থায়ী কর্মী হিসেবে ছিলেন ১৭ বছর। মাহুত হয়েছেন মাত্র তিন বছর আগে। থাকতেন চিড়িয়াখানা আবাসনেই। জানা গেছে, মধুর আসল মাহুত টুটুন জামাতিয়া ঘটনার সময় তাঁর পিঠেই বসেছিলেন। খলিল ছিলেন আরেক হাতি কিশোরের পিঠে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে টুটন সাংবাদিকদের জানান, দুজনেই হাতি দুটি নিয়ে তাদের উন্মুক্ত আবাসে এসেছিলেন। এ সময় দিনের শেষ খাবার হিসেবে কলাগাছও দেওয়া হয়। কিশোরের পিঠ থেকে নেমে মধুর পেছন দিকটায় কেবল এসেছিলেন খলিল। দ্রুত পেছনে ঘুরে খলিলকে আক্রমণ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঁ পা দিয়ে খলিলের মাথায় আঘাত হানে সে। আর তাতেই মৃত্যু হয় খলিলের।

সিপাহিজলা বন্য প্রাণী সংরক্ষক কৃষ্ণ গোপাল রায় বলেন, প্রশিক্ষণ কিংবা ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি ছিল না। গোটা বিষয়ই দুর্ঘটনা বলে তাঁর দাবি। মধুর এই আচরণকে অস্বাভাবিক বলে বর্ণনা করেন তিনি।

চিড়িয়াখানা অধিকর্তা নরেশ জমাতিয়া বলেন, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। আলাদা নজরদারিতে রাখা হবে মধুকে। আজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয় মরদেহ। কাল বৃহস্পতিবার খলিলের লাশ ময়নাতদন্ত হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।