'১০ হাজার নারীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছি'

রেসলিং জগতে কিংবদন্তি রিক ফ্লেয়ার। ছবি: সংগৃহীত
রেসলিং জগতে কিংবদন্তি রিক ফ্লেয়ার। ছবি: সংগৃহীত

রেসলিং জগতে কিংবদন্তি বলা হয় রিক ফ্লেয়ারকে। রিংয়ে তিনি পরিচিত ‘দ্য ন্যাচার বয়’ নামে। তিনি সম্প্রতি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন তাঁর জীবনাচরণের কারণে। তাঁকে নিয়ে বানানো প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে রিক ফ্লেয়ার ১০ হাজার নারীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন। এ সময়ে দিনে কমপক্ষে ১০ ক্যান বিয়ার পানের সঙ্গে থাকত ৫টি ককটেল।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে একজন পেশাদার রেসলিং ব্যবস্থাপক রিকের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।

ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক রোরি কার্পফ অনেক দিন ধরেই রিক ফ্লেয়ারকে অনুসরণ করেন। প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়েছে, ২০ বছরে রিক ফ্লেয়ার কমপক্ষে ১০ হাজার নারীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন। এ সময়ে পান করেছেন দিনে ১০ ক্যান বিয়ার। সঙ্গে ৫টি ককটেল।
পরিচালক রোরি কার্পফ তাঁর প্রামাণ্যচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রেসলিং ব্যবসায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম ফ্লেয়ারের জীবনকর্ম তুলে ধরেছেন। এতে বলা হয়েছে, ৬৮ বছর রিক ফ্লেয়ার চারবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে তাঁর ব্যক্তিজগৎ আর বাইরের জগৎ কিন্তু এক নয়। ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি কমপক্ষে ১০ হাজার নারীর সঙ্গে বিছানায় গেছেন। তাঁর জীবন মাদকের নেশায় ভরা।

ফ্লেয়ার দাবি করেছেন, দিনে ১০ ক্যান বিয়ার ও ৫টি ককটেল খেতেন। একটি শো থেকে আরেকটি শো করতে যাওয়ার সময় রাস্তায় থাকা অবস্থায় গাড়িতেই বিয়ার ও ককটেল খেতেন। পানীয়ের প্রতি আসক্তির কারণে তিনি মনোবিদের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে মাদক গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন। জবাবে মনোবিদ বলেছেন, ‘এভাবে মাদক সেবন করা সম্ভব নয়।’ ১৯৮৯ সালে তিনি ওই মনোবিদকে বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন কাজে থাকি। তাই গাড়িতে বসে বিয়ার খেতাম। হোটেলে গিয়ে ভোদকায় মজে যেতাম।’

চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা রোরি কার্পফকে ‘দ্য ন্যাচার বয়’ রিক ফ্লেয়ার বলেন, ‘যে সময় আমি পালা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলতাম। তিনি চেয়ারে বসে থাকতেন আর আমি শুয়ে শুয়ে কথা বলা বলতাম।’

তবে অতিমাত্রায় পানীয় সেবনের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন রিক। গত বছরের আগস্টে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরই তিনি কোমায় চলে যান। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তবে অস্ত্রোপচারে দেখা যায়, অনেক আগেই তাঁর কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় চিকিৎসকেরা ফ্লেয়ারকে জানিয়ে দেন, তাঁর আর বেঁচে থাকার সুযোগ আছে মাত্র শতকরা ২০ ভাগ।

ফ্লেয়ার নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজকে বলেন, ‘এরপরও আমি মদ্যপান সম্পর্কে ভাবতে শুরু করিনি।’ চিকিৎসকদের তিনি বলেন, ‘আপনি যদি শোনেন যে আমি আবারও পান করছি, তাহলে? তাঁরা বলেন, ‘রিক, যা প্রাপ্য আপনি তাই পাবেন।’ এ অবস্থায় তিনি মানুষকে তাঁর মতো জীবনযাপন না করতে উপদেশও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমার মতো করবেন না।’