'সিরিয়াল কিলার' নার্স!

২০১৫ সালে আদালতে রায় ঘোষণার সময় মুখ ঢাকছেন নিলস হোগেল। ছবি: এএফপি
২০১৫ সালে আদালতে রায় ঘোষণার সময় মুখ ঢাকছেন নিলস হোগেল। ছবি: এএফপি

হাসপাতালে রোগীর সেবায় চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন নার্সের ভূমিকাও কম নয়। কিন্তু সেই নার্সই যদি হত্যা করেন একের পর এক রোগীকে! এমনই এক ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। নিলস হোগেল নামের ওই নার্স দুটি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে এক শ জন রোগীকে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 


বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে দুটি হত্যাকাণ্ডের দায়ে নিলস হোগেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের শুনানিতে কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, তিনি এক শ জনেরও বেশি রোগীকে হত্যা করেছেন।

গোয়েন্দাদের ধারণা, নিলস হোগেল তার অধীনে থাকা রোগীদের হৃদ্‌রোগের মারাত্মক ওষুধ দিয়ে মেরে ফেলতেন। মেডিটেশনের মাধ্যমে তিনি তাদের পুনরুজ্জীবিত করে সহকর্মীদের প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই মারা যান। এ সব অভিযোগে আগামী বছর তাঁর বিরুদ্ধে নতুন রায় আসতে পারে।

নিলস হোগেল জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্য তিনি ১০০ জন রোগীকে মেরে ফেলেন। এর মধ্যে ওলডেনবুর্গে ৩৮ জন ও ডেলমেনহর্সটে ৬২ জনকে হত্যা করেন। এ দুটো ঘটনাস্থলই উত্তর জার্মানিতে। তবে তদন্তকারীরা বলছেন, তিনি এর চেয়েও বেশি মানুষকে হত্যা করে থাকতে পারেন। যদি এ সব মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণিত হয়, তবে তিনি যুদ্ধ পরবর্তীকালে জার্মানির সবচেয়ে জঘন্য সিরিয়াল কিলার হবেন।

২০১৫ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচার চলাকালীন নিলস হোগেল ৩০ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তখন দুটি হত্যাকাণ্ড, দুজনকে হত্যার চেষ্টা ও রোগীদের ক্ষতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। তখন তদন্তকারীরা তাঁর ১৩০ জন রোগীকে শনাক্ত করেছিলেন। যাদের তিনি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম বন্ধ করে দিতে পারে, এমন ওষুধ দিয়েছিলেন। হাসপাতালের রেকর্ডেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়।