ট্রাম্পের 'দেশ আগে', বিশ্বায়নের পক্ষে সি

ভিয়েতনামে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিশ্বায়নের স্রোতের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

ভিয়েতনামের দানাং শহরে শুরু হয়েছে এপেক সম্মেলন। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে চীন সফর শেষে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশের অর্থনৈতিক জোট এপেক। এই জোটের অর্থনীতি বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬০ শতাংশের সমান।

সম্মেলনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তবে এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, তাঁর দেশ আর অন্যায্য বাণিজ্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের চুরি সহ্য করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা আর কাউকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা নিতে দেব না। আমি সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রকে আগে রাখব। আমি আশা করব, এই কক্ষে যাঁরা আছেন, তাঁরাও নিজেদের দেশকে আগে রাখবেন।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাঁর দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে প্রস্তুত আছে, যদি তারা ন্যায্য বাণিজ্যে আগ্রহী হয়ে থাকে।

তবে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর বক্তব্যে বিশ্বায়নের পক্ষ নেন। তিনি বলেন, বিশ্বায়ন হলো একটি ‘ঐতিহাসিক অপরিবর্তনীয় ধারা’। তবে মুক্ত বাণিজ্যের পেছনের দর্শনকে আরও উন্মুক্ত, ভারসাম্যপূর্ণ, ন্যায়সংগত এবং সবার জন্য লাভজনক হতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পক্ষে কথা বললেও চীনের প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বহুপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তাঁর মতে, এ ধরনের বাণিজ্য দরিদ্র দেশগুলোকে লাভবান করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বহুপক্ষীয় বাণিজ্যের সমর্থন এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার অনুশীলন করা উচিত। এতে উন্নয়নশীল সদস্যগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে লাভবান হতে পারবে।’

 সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ট্রুডো

টরন্টো স্টার জানায়, ভিয়েতনামে চলমান এপেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথা ছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। এই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সু চি কানাডারও নাগরিক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কানাডার কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চিকে স্পষ্টভাবে দায়ী করতে অনিচ্ছুক অটোয়া। কানাডার সরকার মনে করে, রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আসলে বিশ্বজুড়ে সু চির মর্যাদাহানির চেষ্টা করছে।