আকস্মিক সফরে সৌদিতে মাখোঁ

এমানুয়েল মাখোঁ
এমানুয়েল মাখোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ আকস্মিক সফরে সৌদি আরব গেছেন। তিনি এমন একসময় রিয়াদে গেলেন, যার কিছুদিন আগেই সেখানে বসে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লেবাবনের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। সেই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়েছেন সৌদি রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ ছাড়া লেবানন, ইয়েমেন ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের বৈরিতা প্রকট হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে লুভর আবুধাবি জাদুঘরের উদ্বোধন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সেখানে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে মাখোঁ তাঁর আকস্মিক দুই ঘণ্টার রিয়াদ সফরের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে লেবাননে স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইয়েমেন ইস্যুতে কথা হয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের। এ ছাড়া মাখোঁর এই সফরকে লেবাননের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত লেবানন ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি এক খবরে বলেছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনার সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট রিয়াদকে লক্ষ্য করে হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার নিন্দা করেন।

গত শনিবার খবর ছড়ায়, ইয়েমেন থেকে রিয়াদকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতিরা। আঘাত হানার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করে সৌদি আরব। এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে দেশটির শাসকগোষ্ঠী। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভ লুদরিও গতকাল শুক্রবার বলেছেন, পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী অবরুদ্ধ নন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট গত বুধবার আবুধাবি যাওয়ার আগের দিন সাদ হারিরি সেখানে গিয়েছিলেন।

সৌদি আরবই সাদ হারিরিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে এবং তিনি ওই ঘোষণা দেওয়ার পর গত শনিবার থেকে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে দাবি করেছিলেন বৈরুতে হারিরির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।