সু চির সম্মাননা ফিরিয়ে নিল অক্সফোর্ড

অং সান সু চি । ছবি: রয়টার্স
অং সান সু চি । ছবি: রয়টার্স

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়া মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে দেওয়া যুক্তরাজ্যের ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড’ সম্মান প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে সিএনএন ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।

অক্সফোর্ড নগর কাউন্সিল জানিয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে সু চি আর ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ নামের ওই পুরস্কারের যোগ্য নন। সু চির সম্মাননা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের পক্ষে সর্বসম্মত রায় পড়েছে। গত অক্টোবরে কর্তৃপক্ষ সু চির খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় অক্সফোর্ড নগর কাউন্সিল। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

অং সান সু চিকে ১৯৯৭ সালে ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ খেতাবে ভূষিত করেছিল নগর কর্তৃপক্ষ। ওই শহরটির সঙ্গে অং সান সু চির নাম জড়িয়ে আছে। কারণ, তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন। গৃহবন্দী থেকে মুক্ত হয়ে ২০১২ সালে সু চি এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

অক্সফোর্ড নগর কর্তৃপক্ষের টু্ইট
অক্সফোর্ড নগর কর্তৃপক্ষের টু্ইট

কাউন্সিলর ম্যারি ক্লার্কসন এই খেতাব প্রত্যাহারে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং মানবিক শহর হিসেবে অক্সফোর্ডের খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু এমন এক ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল, যিনি সহিংসতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি নীরব রয়েছেন, নিষ্ক্রিয় থাকছেন। তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার ফলে নগর কর্তৃপক্ষের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এই খেতাব প্রত্যাহারের উদ্যোগ।

বিবিসি জানিয়েছে, সেন্ট হাগস কলেজ, যেখানে সু চি পড়াশোনা করেছিলেন, সেখান থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট সেনা অভিযানের পর থেকে সহিংসতার কারণে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন থেকে পালাচ্ছে মুসলিম রোহিঙ্গারা। তাদের রক্ষায় নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি ভূমিকা না রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ থেকে বাঁচতে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এখনো মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিন্দা জানিয়েছে এই নির্যাতনের।