উত্তর কোরিয়ার সঙ্গ ছাড়ুন

জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এশিয়ার নিভৃতকামী দেশটির সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না।

বুধবার ভোরে জাপানের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এরপর নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি অধিবেশনে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আহ্বানে এই বৈঠক বসে। সেখানে এই পরীক্ষার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি পরিষদের অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশে বলেন, উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপ বিশ্বকে ‘যুদ্ধের খুব কাছে’ নিয়ে যাচ্ছে। তিনি পিয়ংইয়ংকে বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

নিকি হ্যালি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সব কটি দেশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জানান, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ফোন করেছেন। উত্তর কোরিয়া তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, চীন এই পদক্ষেপ নিলে তা হবে উত্তর কোরিয়াকে এক ঘরে করে ফেলার কার্যকরী পদক্ষেপ।

নিকি হ্যালি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কখনো যুদ্ধ চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে যদি যুদ্ধ বাধে, তবে উত্তর কোরিয়া পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে।

তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার মার্কিন আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না রাশিয়া ও চীন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল বেলারুশের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছি। আমরা বরাবরই বলে আসছি, অবরোধ এবং নিষেধাজ্ঞার চাপ কোনো কাজে আসেনি।’

এদিকে চীনও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় তেল সরবরাহ বন্ধের ব্যাপারে তারা আগ্রহী নয়।