এক টাকার নোটের শতবর্ষ

ভারতে এক টাকার নোট শত বছর পূর্ণ করেছে ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। ১৯১৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ ভারতে প্রথম চালু করা হয়েছিল এক টাকার নোট। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে রুপার মুদ্রায় টান পড়লে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তখন ব্রিটিশ সরকার ভারতে এক টাকার নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ছাপানো হয়েছিল লন্ডন থেকে।

১৯২৬ সালে আবার নোট ছাপার খরচ বেড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আবার ১৯৪০ সাল থেকে শুরু হয় এক টাকার নোট ছাপা। যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। এরপরে আবার এই ছোট নোটের ছাপা বন্ধ হয়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ শুরু হয় এই নোট ছাপা। তখন রাজস্থানের শ্রীনাথজি মন্দিরে এই নোট প্রকাশ করা হয়। এই নোট ছাপাও হয় মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। তখন পূজা, বিয়ে এবং শুভ কাজে এক টাকার নোটের প্রচুর চাহিদা থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকার নোট ছাপার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে এই এক টাকার নোট ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক ছাপায় না। এটা ছাপায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এক টাকার নোটের শতবর্ষ পালনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আবার এই এক টাকার নোটে স্বাক্ষর থাকে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের। এখানে স্বাক্ষর থাকে না রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের—যা অন্যান্য নোটে থাকে।

জানা গেছে, গত ১০০ বছরে এই এক টাকার নোটে ২৮ বার নকশার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪০ সালে নোটের মাপ কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করা হয়। আবার ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে এই নোট থেকে তুলে দেওয়া হয় ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের ছবি। এরপর এখানে আসে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক। দেশের প্রথম অর্থসচিব কে আর মেননের স্বাক্ষর রয়েছে এই নোটে।

প্রথম দিকে এই এক টাকার নোট চেক বইয়ের মতো ২৫টির বান্ডিল বের করা হয়। জানা গেছে, ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এই নোটের প্রচলন ছিল দুবাই, বাহরাইন, মাসকট ও ওমানেও। ভারতের এই এক টাকার নোট দেখে পর্তুগিজ ও ফরাসিদের এতটাই ভালো লেগেছিল যে তারাও দেশে এই নোট চালু করেছিল।