'উপপ্রধানমন্ত্রীর' কম্পিউটারে হাজারো পর্নো ছবি!

ডেমিয়েন গ্রিন। ছবি: সংগৃহীত
ডেমিয়েন গ্রিন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র বিপদ যেন কাটছেই না। একের পর এক সমস্যার সামনে এসে পড়ছে। এবার তার কার্যত ‘উপপ্রধানমন্ত্রী’ ডেমিয়েন গ্রিনের বিরুদ্ধে নিজ কম্পিউটারে পর্নো ছবি রাখার অভিযোগ উঠেছে। তার (উপপ্রধানমন্ত্রী) সরকারি কম্পিউটারে ২০০৮ সালে এসব ছবি পাওয়া গেছে বলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গ্রিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ সামনে আসায় নতুন করে সংকটে পড়লেন থেরেসা মে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাবেক গোয়েন্দা নেইল লুইস বলেন, ২০০৮ সালে এক অভিযানে ডেমিয়েন গ্রিনের সরকারি কম্পিউটারে কয়েক হাজার পর্নো ছবি পাওয়া যায়। নেইল বলেন, এত পরিমাণ পর্নো ছবি দেখে নিজেও হতবাক হয়েছিলাম। আর এটা যে ডেমিয়েন গ্রিনের মাধ্যমেই কম্পিউটারে এসেছিল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই তথ্য থেরেসা মে এবং গ্রিনকে নতুন সমালোচনার মধ্যে ফেলছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যার মধ্যে আছে থেরেসা মে’র সরকার। এরই মধ্যে গ্রিনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের এক ঘটনায় সাংবাদিক কেইট ম্যাল্টবাইয়ের এক অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে।

গত মাসে ব্রিটিশ সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে গ্রিনের কম্পিউটারে পর্নো ছবি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়। কিন্তু গ্রিন তখন তা অস্বীকার করেন। তার এই অস্বীকারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেইল। তিনি জানান, আমি নিজেই কম্পিউটার তল্লাশি করে এসব পর্নো ছবি পেয়েছিলাম। তবে এবার নেইলের বক্তব্যর পর গ্রিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

নেইল লুইস বিবিসিকে বলেন, ‘কম্পিউটারটি ডেনিয়েল গ্রিনের অফিসে তার ডেস্কে ছিল। কম্পিউটারে তার অ্যাকাউন্ট ও নামটি ছিল। তার এই অ্যাকাউন্ট থেকে মেইল করা হয়েছে। ওই কম্পিউটারের ব্রাউজিংয়ে পর্নোগ্রাফি ছিল। এটি হাস্যকর যুক্তি যে অন্য কেউ এটি করতে পারত।’
লুইস বলেন, হাজারো পর্নো ছবির মধ্য ৯টি ছিল ‘চরম’ পর্যায়ের। কম্পিউটারের বিশ্লেষকদের বলছেন, ওই কম্পিউটার তিন মাসের বেশি সময় ‘ব্যাপকভাবে’ পর্নো দেখা হয়েছে। কখনো কখনো এক বসায় ঘণ্টাখানেক দেখি হয়েছে।

তবে গ্রিনের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।