গুজরাটে জিততে পারবে বিজেপি?

বিজেপি
বিজেপি

আর চার দিন বাকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের বিধানসভার নির্বাচনের। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবিপি নিউজ-সিএসডিএস গত আগস্ট ও অক্টোবর মাসে দুই দফা জনমত সমীক্ষা করেছিল। ওই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বিপুল ভোটে জিততে চলেছে বিজেপি। কিন্তু গত নভেম্বরের জনমত সমীক্ষা বলছে অন্য কথা।

আজ মঙ্গলবার সেই জনমত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা। তাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, গুজরাটে বিজেপির জয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। জিতলেও টেনেটুনে জিততে পারে। আবার হারলেও হেরে যেতে পারে। তবে বিজেপির আসন যে কমছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে এই জনমত সমীক্ষায়।

৯ ও ১৪ ডিসেম্বর দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে গুজরাট বিধানসভার ১৮২ আসনের নির্বাচন।

গত মাসের ২৩ থেকে ৩০ তারিখ গুজরাটের ৫০টি বিধানসভা আসনের ৩ হাজার ৬৫৫ জন ভোটারের মাঝে চালানো হয় এই জনমত সমীক্ষা। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এখনই নির্বাচন হলে বিজেপি পেতে পারে ৯১ থেকে ৯৯টি আসন। ১৮২ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ৯২টি আসন। নির্বাচনে কংগ্রেস পেতে পারে ৭৮ থেকে ৮৬টি আসন। আর অন্যান্য দল পেতে পারে ৩ থেকে ৭টি আসন। ফলে, এই সমীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই রাজ্যে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বিজেপি।

অথচ আগস্ট মাসের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিজেপি জিততে পারে ১৪৪ থেকে ১৫২টি আসন। আর অক্টোবর মাসের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিজেপি জিততে পারে ১১৩ থেকে ১২১ আসন। আগস্টের সমীক্ষায় ধারণা করা হয়েছিল, কংগ্রেস পেতে পারে ২৬ থেকে ৩২টি আসন। অক্টোবর মাসের সমীক্ষায় একটু বেড়ে হয়েছিল ৫৮ থেকে ৬৪টি আসন।

আগস্ট মাসের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিজেপি পাবে ৫৯ শতাংশ ভোট। অক্টোবরে সেটা হয় ৪৭ শতাংশ আর নভেম্বরে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৪৩ শতাংশে। পাশাপাশি আগস্টের সমীক্ষায় বলা হয়, কংগ্রেস পাবে ২৯ শতাংশ, অক্টোবরে তা বেড়ে হয় ৪১ শতাংশ আর সর্বশেষ নভেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ শতাংশে।

এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রোববার দাবি করেন, বিজেপি ১৫০ আসনে জিতবে। তবে তিনি এই কথাও মেনে নিয়েছেন যে এখন গুজরাটে সরকারবিরোধী একটা হাওয়া চলছে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ ও আদিবাসী এলাকায় বিজেপির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। বিশেষ করে নোট বাতিল এবং জিএসটির প্রভাব পড়েছে এই নির্বাচনে।

২০১২ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ১১৫টি আসনে জিতেছিল বিজেপি।