নিখোঁজ বিখ্যাত মানুষের গল্প

নিখোঁজ বিখ্যাত মানুষেরা
নিখোঁজ বিখ্যাত মানুষেরা

পৃথিবীতে অনেক মানুষ হারিয়ে গেছেন। অনেকেই গুম। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ফিরে এসেছেন। কেউ কোনো দিন আর ফিরে আসেননি। যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার কোনো কারণ ও উদ্দেশ্য জানতে পারেনি পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজ হয়ে ফিরে আসার পর তাঁরা নিজেরাও এ বিষয়ে আর মুখ খোলেননি। বিশ্বে এমন রহস্যজনকভাবে হারানো বা নিখোঁজ হওয়া মানুষদের মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিও আছেন। এমন কয়েকজন হারানো মানুষের রহস্যময় কাহিনি নিয়ে এই আয়োজন।

জনপ্রিয় ব্রিটিশ লেখিকা আগাথা ক্রিস্টি। ছবি: এএফপি
জনপ্রিয় ব্রিটিশ লেখিকা আগাথা ক্রিস্টি। ছবি: এএফপি

আগাথা ক্রিস্টি
জনপ্রিয় ব্রিটিশ কথাশিল্পী আগাথা ক্রিস্টি একবার নিখোঁজ হয়েছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের লেখকদের মধ্যে তিনি সর্বকালের সেরা। তাঁর একেকটি উপন্যাস প্রায় দুই বিলিয়ন কপি করে বিক্রি হয়। গোয়েন্দা উপন্যাস লেখা এই লেখিকা রহস্যজনকভাবে ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবরে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ অনলাইন ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগাথা ক্রিস্টির স্বামী কর্নেল আর্চি ক্রিস্টি ন্যানসি নিল নামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ন্যানসি নিলের আরেকটি নাম তেরেসা নিল। আর্চি ১৯২৬ সালের ৩ আগাথাকে বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে দুজনের ঝগড়া বাধে। আর্চি ওই বাসা ছেড়ে চলে যান। ওই দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে একটি চিঠি লিখে নিরুদ্দেশ হয়ে যান আগাথা। ওই চিঠিতে লেখা ছিল, তিনি ইয়র্কশায়ারে যাচ্ছেন। কিন্তু পরে তাঁর মরিস কাওলি গাড়িটি পিকনিক স্পট নিউল্যান্ডস কর্নারে পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর পোশাক ও মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স। কিন্তু আগাথার কোনো খোঁজ মেলেনি।

আগাথার মতো জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম জয়েনসন-হিকস। তাঁকে উদ্ধারে পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। সংবাদপত্রে নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হয়। খোঁজ দিতে পারলে তাঁর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাঁর খোঁজে নেমে পড়েন সহস্রাধিক পুলিশ কর্মকর্তা, ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিনেও তাঁর কোনো হদিস মেলেনি। শার্লক হোমসের লেখক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ও অপরাধবিষয়ক লেখিকা ডরোথি এল সায়ারসও আগাথার উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন।

সে সময় নিউইয়র্ক টাইমস ও ডেইলি মিররের প্রথম পৃষ্ঠায় আগাথার নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হয়। নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর ১৪ ডিসেম্বর বব টাপ্পিন নামের স্থানীয় একজন মিউজিশিয়ান আগাথার খোঁজ দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ইয়র্কশায়ারের হ্যারোগেটে একটি হোটেলে তিনি আগাথাকে দেখেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানকার ওল্ড সোয়ান হোটেলে আগাথা তাঁর স্বামীর প্রেমিকা তেরেসা নিল পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন। তাঁর ঠিকানা দেওয়া ছিল কেপটাউনের। সেদিনই তিনি ফিরে আসেন।

ফিরে এলেও কেন বা কীভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন, আগাথা তা বলেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘আমি একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখছিলাম। এরপর দেখি আমি হ্যারোগেটে।’ ২০০৬ সালে আগাথার আত্মজীবনী লেখেন অ্যান্ড্রিউ নরম্যান। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর ধারণা, ওই ১১ দিন আগাথা তাঁর নিজের মধ্যে ছিলেন না। এটা একধরনের জটিল মানসিক সমস্যা, যা ‘ফিউগ স্টেট’ নামে পরিচিত। এর কারণে মানুষের অ্যামনেশিয়াও হতে পারে।

১৯২৮ সালে আর্চির সঙ্গে আগাথার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আগাথা আবার বিয়ে করেন। ১৯৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি ৮৫ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।

রিচার্ড জন বিংহাম ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া
রিচার্ড জন বিংহাম ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া

রিচার্ড জন বিংহাম
ব্রিটেনের অ্যাংলো-আইরিশ অভিজাত লুকান বংশের বংশধর রিচার্ড জন বিংহাম। এই বংশের বংশধরদের আর্ল অব লুকান বলা হয়। সপ্তম আর্ল অব লুকান রিচার্ড জন বিংহাম লর্ড লুকান নামেও পরিচিত ছিলেন। জুয়াড়ি ও দ্রুতগতির গাড়ি চালানোর জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয়। ১৯৭৪ সালের ৭ নভেম্বর ৩৯ বছর বয়সে নিরুদ্দেশ হন রিচার্ড। তারপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। লুকান বংশের অষ্টম আর্ল হিসেবে আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠা পেতে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪০ বছর পর রিচার্ডের মৃত্যুর সনদ আদালতে উপস্থাপন করেন তাঁর ছেলে জর্জ বিংহাম। আদালত তা গ্রহণ করেন।

রিচার্ডের সেন্ট্রাল লন্ডনের বেলগ্রাভিয়ার বাড়িতে থেকে তাঁর সন্তানদের দেখভাল করতেন সান্ড্রা রিভেট নামের একজন আয়া। ১৯৭৪ সালের ৭ নভেম্বর রাতে ওই বাড়িতে সান্ড্রার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। রিচার্ডের স্ত্রী ভেরোনিকা ডানকান কোনো রকমে বেঁচে যান। ওই রাত থেকেই রিচার্ড নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এর দুই বছর আগে ভেরোনিকার সঙ্গে রিচার্ডের বিচ্ছেদ হয়। তাই ভেরোনিকা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের ওপর রিচার্ডই হামলা করেছিলেন। পরে তদন্ত শুরু হয়। ইস্ট সাসেক্সের নিউহ্যাভেন থেকে রিচার্ডের গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভেতর রক্ত লেগে ছিল।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ৮০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ভেরোনিকা ডানকানের। কিন্তু ১৯৩৪ সালে জন্ম নেওয়া রিচার্ডের নিরুদ্দেশ হওয়ার রহস্য বা খোঁজ আজও পাওয়া যায়নি। রিচার্ডের মৃত্যু হয়েছে—এমন অনুমিত সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালে ছেলে জর্জ বিংহাম বাবার মৃত্যুসনদ বের করে আদালতে হাজির করেছিলেন।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিচার্ডের নিরুদ্দেশ হওয়ার পর জানা গেছে, তাঁর ৪৫ হাজার পাউন্ড ঋণ ছিল। আর তাঁর সমস্ত সম্পদের মূল্য ছিল ২২ হাজার ৬৩২ পাউন্ড। এ নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ঋণদাতাদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রিচার্ডের নিরুদ্দেশের বিষয়ে একেকজন একেক রকম ধারণা করেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে—রিচার্ড আয়া সান্ড্রাকে ভুলক্রমে হত্যার পর ডুবে আত্মহত্যা করেছিলেন; আরেকটি হলো—তিনি আফ্রিকায় পালিয়ে গিয়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিলেন; তিনি গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন, পরে তাঁর লাশ চিড়িয়াখানার বাঘের খাদ্য করা হয়েছিল; তিনি সান্ড্রাকে হত্যা করেননি, তারপরও অভিযোগ ওঠায় তাঁর বন্ধু তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছেন।

উড়োজাহাজ চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া প্রথম নারী বৈমানিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। ছবি: এএফপি
উড়োজাহাজ চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া প্রথম নারী বৈমানিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। ছবি: এএফপি

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট
অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট মার্কিন নকশাকার, সাময়িকী সম্পাদক ও উড়োজাহাজ চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া প্রথম নারী বৈমানিক। ১৯৩৭ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৩৭ সালে দুই ইঞ্জিনের একটি ক্ষুদ্র উড়োজাহাজ নিয়ে সহযোগী ফ্রেড নুনানকে নিয়ে তিনি পৃথিবী পরিক্রমণে বেরিয়েছিলেন। বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চল দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় তাঁর উড়োজাহাজ। এরপর থেকে অ্যামেলিয়া, ফ্রেড ও ওই উড়োজাহাজের কোনো খোঁজ মেলেনি। অ্যামেলিয়ার ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা আর কখনোই জানা যায়নি। সে সময় উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি।

২০১৪ সালে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতির সৈকতে পাওয়া কিছু ধ্বংসাবশেষ অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্টের বিমানটির বলে ধারণা করেছেন গবেষকেরা।

মার্কিন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জিমি হোফা। ছবি: এএফপি
মার্কিন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জিমি হোফা। ছবি: এএফপি

জিমি হোফা
মার্কিন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জিমি হোফা। আন্তর্জাতিক ব্রাদারহুড টিমস্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই ডেট্রয়েটে রেড ফক্স রেস্তোরাঁর সামনে দুজন মাফিয়া বসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সেখান থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এখন পর্যন্ত তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা, ৬২ বছর বয়সী জিমিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাঁর খোঁজ না পাওয়া ১৯৮২ সালের ৩০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় রকশিল্পী রিচি এডওয়ার্ডস। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া
যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় রকশিল্পী রিচি এডওয়ার্ডস। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া

রিচি এডওয়ার্ডস
যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় রকশিল্পী রিচি এডওয়ার্ডস ১৯৯৫ সালে ১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৭ বছর বয়সে নিখোঁজ হন। একটি কনসার্টে অংশ নিতে সেদিন তাঁর ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল। সে উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। এর দুই সপ্তাহ পর পথের ধারে তাঁর গাড়িটি খুঁজে পাওয়া গেলেও আজ অবদি রিচির কোনো খোঁজ মেলেনি।

রিচিকে কেউ হত্যা করেছে—এই মর্মে ২০০৮ সালের ২৪ নভেম্বর ওয়েলসের প্রবেট রেজিস্ট্রি থেকে রিচির মৃত্যুসনদ বের করে নেন তাঁর মা-বাবা।

লুইস লে প্রিন্স
লুইস লে প্রিন্স


লুইস লে প্রিন্স
সিনেমাটোগ্রাফির জনক বলা হয় ফরাসি লুইস লে প্রিন্সকে। ধারণা করা হয়, বিশ্বের প্রথম ভিডিওচিত্রের আবিষ্কারক তিনি। কিন্তু সেই স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হন তিনি। স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যই তিনি যুক্তরাষ্ট্র হয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সে অনুযায়ী ট্রেনেও উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেন থেকে তাঁর ব্যাগ উদ্ধার হলেও তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

মার্কিন ব্যান্ড দল বিগ ব্যান্ডের সদস্য গ্লেন মিলার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মার্কিন ব্যান্ড দল বিগ ব্যান্ডের সদস্য গ্লেন মিলার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গ্লেন মিলার
মার্কিন ব্যান্ড দল বিগ ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন গ্লেন মিলার। ১৯৪৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর কনসার্টে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য থেকে প্যারিসের উদ্দেশে একটি ছোট উড়োজাহাজে যাত্রা করেন তিনি। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় ওই উড়োজাহাজ। অনেকের ধারণা, ওই সময় একটি বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছিল। তাদের প্রশিক্ষণ বোমার আঘাতে হয়তো উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হতে পারে। তবে এই রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড হল্ট। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
অস্ট্রেলিয়ার ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড হল্ট। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া


হ্যারল্ড হল্ট
অস্ট্রেলিয়ার ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড হল্ট। ১৯৬৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে পোর্ট সির শেভিওট সৈকতে সাঁতার কাটতে গিয়ে আর ফেরেননি। আজ পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার হয়নি তাঁর মরদেহ।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকের ধারণা ছিল, হ্যারল্ড হল্ট আত্মহত্যা করেছেন বা হাঙরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন, চীনের সাবমেরিন বা সিআইএ তাঁকে হত্যা করতে পারে। রহস্য উন্মোচিত না হলেও ২০০৫ সালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।