ভারতে বাতিল হবে রেলের ডিজেল ইঞ্জিন

ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে
ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে

ভারতের বিভিন্ন বড় রাজ্যের রাজধানী এবং শহর ও শহরের উপকণ্ঠে চলছে বিদ্যুৎ-চালিত বা ইলেকট্রিক ট্রেন। তবে গোটা দেশের দূরপাল্লা এবং গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো চলছে ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রেন। অর্থাৎ এখনো দেশে বেশি চলছে ডিজেলচালিত ট্রেন। এবার সেই ডিজেলচালিত ট্রেন বিদায় নেবে ভারত থেকে।

ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত থেকে উঠে যাবে রেলের সব ডিজেল ইঞ্জিন। সেখানে আসবে ইলেকট্রিক বা বিদ্যুৎ-চালিত ইঞ্জিন। এর আগে ১৯৮৮ সালে তুলে দেওয়া হয়েছিল ইস্টিম বা বাষ্পচালিত রেল ইঞ্জিন। সেসব ইঞ্জিনের এখন ঠাঁই হয়েছে জাদুঘর এবং রেল ইয়ার্ডে।

রেলমন্ত্রী বলেছেন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালু হলে বছরে ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কারণ, ইলেট্রিকের চেয়ে ডিজেল ইঞ্জিনের খরচ বেশি। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিদেশ থেকে ডিজেল আনতে হয়। এবার ডিজেলের ওপর চাপ কমাতে ভারত সরকার ইলেকট্রিক ইঞ্জিন আনতে চাইছে। ইলেকট্রিক ইঞ্জিন পরিবেশবান্ধবও। সেই লক্ষ্য নিয়ে ভারত সরকার এবার প্রতিবছর এক হাজার ইলেকট্রিক ইঞ্জিন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ জন্য ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে বিহারের মাধেপুরাতে জার্মানির সংস্থা জিই অ্যালসথোরের সহযোগিতায় তৈরি করা হচ্ছে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন তৈরি কারখানা। এখন অবশ্য ভারতে এই ইঞ্জিন তৈরি করছে সিএলডব্লিউ সংস্থা।

এর আগে ১৯৭৯ সালে পান্ডে কমিটি সুপারিশ করেছিল ডিজেল ইঞ্জিন তুলে সেখানে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালু করার।

এদিকে রেল মন্ত্রণালয় ভারতের রেলস্টেশনগুলোর উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। কীভাবে রেলস্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যায় এবং সেই স্টেশনগুলো কীভাবে গড়া হবে, তার পরিকল্পনা পেশের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় দুটি স্তরে মূল্যায়ন হবে। প্রথম স্তরে স্কুলপড়ুয়ারাও অংশ নিতে পারবে। এতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। প্রথম স্তরে শ্রেষ্ঠ পাঁচজনকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৩০ হাজার রুপি। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচিতদের মধ্যে দেওয়া হবে ১০ লাখ রুপি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম পর্যায়ে এই পরিকল্পনায় তিনটি স্টেশনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই স্টেশন তিনটি হলো নাগপুর, গোয়ালিয়র ও কর্ণাটকের বৈয়পনহালি রেলস্টেশন।