পুতিনের বিরুদ্ধে লড়তে চান নাভালনি

প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণবিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আলেক্সেই নাভালনি। ছবি: রয়টার্স
প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণবিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আলেক্সেই নাভালনি। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ায় সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতা আলেক্সেই নাভালনি বলেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো যথেষ্ট সমর্থন তাঁর রয়েছে। মস্কোতে এক জনসভায় রোববার তিনি এ কথা বলেছেন। নাভালনির সমর্থকেরা বলছেন, শিগগিরই পুতিনের বিপক্ষে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মোট ২০টি শহরে নাভালনির সমর্থকেরা তাঁর সপক্ষে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। মস্কোর সমাবেশে নাভালনি আরও বলেছেন, পুতিন একজন ‘বাজে প্রেসিডেন্ট।’ সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া না হলে নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়া হবে।

২০টি শহরের প্রত্যেকটিতে ৫০০ সমর্থন প্রয়োজন ছিল ৪১ বছর বয়সী নাভালনির। পরে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার মাধ্যমে আমি একটি জোটের আনুষ্ঠানিক প্রার্থী হব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রচারাভিযানে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।’ তাঁকে প্রার্থী করতে এসব স্বাক্ষর নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাভালনি।

মস্কোতে সমাবেশে নাভালনি বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন, আপনি এই দেশের সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোকে ব্যক্তিগত, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছেন। এ কারণেই আপনার আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকা উচিত নয়। আপনি একজন বাজে প্রেসিডেন্ট।’

বর্তমানে পুতিনের একমাত্র যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয় আলেক্সেই নাভালনিকে। এই মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা নেই নাভালনির। দুর্নীতির দায়ে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে নাভালনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রোববারই মস্কোতে আরেক বিরোধীদলীয় নেতা ইলিয়া ইয়াশিনের ডাকে একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। এই র‍্যালিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। র‍্যালি অংশগ্রহণকারীরা ‘রাশিয়া মুক্ত হবে’ ও ‘পুতিন একজন চোর’ বলে স্লোগান দেয়। পুলিশ এ ধরনের র‍্যালিকে অবৈধ ও উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেছে। তবে র‍্যালি থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।