দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল কাজ করছে

দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন কৌশল ‘এত দ্রুত কাজ করছে যে তা কারও বোঝার সাধ্য নেই’। এমনটাই দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে ট্রাম্পের কৌশলের ফলে ওই অঞ্চলে ভারতের প্রাধান্য বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, আফগানিস্তানে উগ্রবাদী গোষ্ঠী তালেবান এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন বাহিনী ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।

গত আগস্টে আফগানিস্তান বিষয়ে মার্কিন কৌশল প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। নতুন কৌশল প্রকাশের পর থেকে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে অন্যতম মার্কিন মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় ট্রাম্প প্রশাসনের। ট্রাম্প নিজে এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা অভিযোগ করে আসছেন, আফগানিস্তানের জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসছে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তাঁর নীতি খুব দ্রুত সফলতা আনছে। এই নীতি আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর জন্য দারুণ সহায়ক হচ্ছে। ট্রাম্পের ভাষ্য, ‘তালেবান ও আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দারুণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে নতুন মার্কিন কৌশলের ফলে ওই অঞ্চলে ভারতের প্রভাব এবং ভূমিকা বেড়ে গেছে। কারণ, এই অঞ্চলে অন্যতম দুটি শক্তি ভারত ও পাকিস্তান। নতুন কৌশলে পাকিস্তানের সমালোচনা করা হয়েছে, যা ভারতের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। আর সর্বশেষে দ্বিপক্ষীয় টানাপোড়েন এবং তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক সহযোগিতা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আর কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নাজারবায়েভ আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রোধসংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এর আগে মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করলেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পুরো বিশ্বের প্রত্যাশা। আর প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আফগানিস্তানে শান্তি নিশ্চিত করা।’

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় কাজাখস্তানে প্রচুর পরমাণু অস্ত্রের মজুত ছিল। পরে সেগুলো ত্যাগ করে দেশটি। ওই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যে দেশগুলো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে, তাদের ব্যাপারে কথা বলার মতো নৈতিক অধিকার রয়েছে কাজাখস্তানের। এর এই কারণে আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলছি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব।’ সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর প্রতি রুশ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কাজাখস্তান বেশ অস্বস্তিতে আছে।