বাংলাদেশি কিশোরীকে পুনেতে পাচার করছিল

গ্রেপ্তার তিন দালাল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার তিন দালাল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বরিশাল থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে গত সোমবার অবৈধ পথে একটি দালালচক্র নিয়ে এসেছিল ১৫ বছরের এক বাংলাদেশি কিশোরীকে। এরপরে বনগাঁ সীমান্ত থেকে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসা হয় হাওড়া স্টেশনে। তোলা হয় একটি আবাসিক হোটেলে। হাওড়া থেকে মহারাষ্ট্রের পুনের নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করে দেওয়াব উদ্দেশ্য ছিল দালাচক্রের। এখান থেকে ট্রেনে করে পুনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশন এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে তিন দালালসহ ওই কিশোরীকে।

গতকাল বুধবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে আদালত তিন দালালকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন। আর বাংলাদেশি কিশোরীকে লিলুয়ার সরকারি হোমে পাঠিয়ে দেয়।

ধরা পড়া তিন দালাল হলেন পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ সীমান্তের জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা শ্যামল দাস (৩২), বাংলাদেশের নড়াইলের বাসিন্দা মিফাইল বিশ্বাস (২২) ও পুনের বাসিন্দা ও নারী পাচারকারী গোবিন্দ মধুকুর। পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃত এই তিন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক নারী পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

পুলিশ এখন ওই তিন পাচারকারীকে জেরা শুরু করেছে। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা বেনাপোলের দালাল আমিনুর শেখকে দিয়ে ওই কিশোরীকে পেট্রাপোল সীমান্তে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে নিয়ে আসেন। এরপর তিন দালাল কিশোরীকে নিয়ে চলে আসেন হাওড়ায়। ওঠেন একটি হোটেলে। সেখান থেকে এই কিশোরীকে বিক্রি করে দিয়ে গোবিন্দের হাত ধরে পুনে পাঠানোর কথা ছিল।