যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কাজ যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ!

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রশ্নে সম্মতি অর্জিত না হলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম আজ শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ছাড়াও উদ্যান ব্যবস্থাপনা, খাদ্যনিরাপত্তাসহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজ আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতৃত্ব সরকারি কাজকর্ম চালু রাখার জন্য স্বল্পস্থায়ী ব্যয় বরাদ্দের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত। এ ব্যাপারে তাঁরা বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের তরফ থেকে কোনো সমর্থন পাবেন বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা কর্মসূচি ‘ডাকা’র অধীনে যে ৮ লাখ তরুণ-তরুণী সাময়িকভাবে বৈধভাবে সেদেশে থাকার অনুমতি পেয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কোনো স্থায়ী সমাধান অর্জিত না হলে ব্যয় বরাদ্দ প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা কোনো সমর্থন দেবেন বলে মনে হয় না।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পক্ষই ধারণা করছে, ফেডারেল সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হলে তার সব দায়ভার অপরের ওপর বর্তাবে এবং এ বছর নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটাররা সে জন্য তাদের শাস্তি দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ ছাড়াও আইন পরিষদ এই মুহূর্তে পুরোপুরি রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে, সে কারণে কোনো কোনো নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক মনে করেন, ফেডারেল সরকার বন্ধ হলে দোষ রিপাবলিকানদের ওপরই বর্তাবে বেশি। সে কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতৃত্ব চেষ্টা করছেন অন্তত এক মাসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর করে একটি আইন পাস করতে। বিরোধী পক্ষকে সামলাতে তাঁরা এই প্রস্তাবে ‘চিপস’ নামে পরিচিত শিশু বিমা কর্মসূচি সচল রাখতে আগামী ছয় বছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন। ডেমোক্র্যাটরা এখনো এ ব্যাপারে তাঁদের সম্মতি দেননি। তবে রক্ষণশীল রাজ্য থেকে নির্বাচিত তাঁদের বেশ কয়েকজন সদস্য আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাতে সমর্থন জানাতে পারেন বলে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এই দলের অধিকাংশ সদস্যদের ওপর ‘ডাকা’ প্রশ্নের সমাধান ছাড়া কোনো সমঝোতা না করার চাপ রয়েছে।

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এই প্রস্তাব গৃহীত হলেও সিনেটে তা প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। সেখানে অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত যেকোনো প্রস্তাব গৃহীত হতে হলে কমপক্ষে ৬০টি হ্যাঁ-বাচক ভোট চাই। কিন্তু রিপাবলিকানদের হাতে রয়েছে মাত্র ৫১টি ভোট। অর্থাৎ কমপক্ষে ৯ জন ডেমোক্রেটিক সিনেটরের সমর্থন তাঁদের চাই। রিপাবলিকানরা আশা করছেন, ট্রাম্পসমর্থক বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত কোনো কোনো ডেমোক্রেটিক সিনেটর দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন।