পশ্চিমবঙ্গে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শিবির

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি রোহিঙ্গা শিবির।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি রোহিঙ্গা শিবির।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাড়দহ গ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি রোহিঙ্গা শিবির। ১৫ কাঠা জমির ওপর তৈরি হয়েছে এটি। আছে আটটি টিনের ঘর।
ইতিমধ্যে এখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ২১ জন রোহিঙ্গাকে। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ, ছয়জন নারী ও নয়টি শিশু। হোসেন গাজী নামে স্থানীয় এক যুবক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছেন এই রোহিঙ্গা শিবির। এখানে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও মুসলিম সংগঠন।
রোহিঙ্গা শিবিরটি জেলা প্রশাসনের নজরে আছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কাছে জাতিসংঘের শরণার্থী দপ্তরের পরিচয়পত্র আছে। এই পরিচয়পত্র থাকলে শরণার্থীদের ভিসা-পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না।’
তবে অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এ ধরনের শরণার্থী শিবির অবৈধ। জাতিসংঘ এখনো রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।’

বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি সুনীল দাস বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির গড়ে উঠেছে কলকাতার উপকণ্ঠ বারুইপুর থানা এলাকায়। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জেনেও প্রশাসন চুপ করে আছে।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলের নেতা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘ওরা মানুষ। ওদের শরণার্থী পরিচয়পত্র আছে। যদি এখানে থাকার ব্যাপারে ওদের বৈধতা না থাকে, তবে রাজ্য সরকার ওদের বৈধতা দিক। ওরা মানুষ হিসেবে বৈধ, শরণার্থী হিসেবে বৈধ, ওরা থাকুক—এটা চাই।’